মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নমুনা পরীক্ষা করলেই বাড়ি লকডাউন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

খুলনা পিসিআর ল্যাবে এখন থেকে নমুনা পরীক্ষা করালে বাড়ি লকডাউন করা হবে। পরে রিপোর্টে করোনা পজিটিভ হলে ওই লকডাউন অব্যাহত থাকবে। আর নেগেটিভ হলে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে। এতে বিনা কারণে কেউ নমুনা পরীক্ষা করাবে না, আবার নমুনা দেওয়ার পর রিপোর্ট প্রদানের আগ পর্যন্ত লকডাউনে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমেও অন্য কেউ সংক্রমিত হবে না। গতকাল করোনাভাইরাস সংক্রান্ত খুলনা জেলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। জানা যায়, খুলনায় গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ উদ্বেজনক হারে বেড়েছে। এরই মধ্যে নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১০১ জন ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৫৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, অধিক সংক্রমণের কারণে নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসা উপজেলার আইচগাতি ইউনিয়নকে পরীক্ষামূলক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় ২৫ জুন রাত ১২টা থেকে পরবর্তী একুশ দিন বাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারবেন না। এখানে সড়কে প্রতিবন্ধকতা দেওয়া হবে, যাতে বাইরে থেকেও কেউ প্রবেশ করতে না পারে। আগামী দুই দিন এসব এলাকায় মাইকিং করে বিষয়টি জানানো হবে। লকডাউনে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, চাপের কারণে তিন ধাপে ল্যাবে প্রতিদিন ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তারপরও অসংখ্য নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিদিন এত পরীক্ষা মেশিনের জন্য অসহনীয় হওয়ায় তা অকেজো হতে পারে। তিনি বলেন, উপসর্গ না থাকলেও অসুস্থতার কথা বলে অনেকে বিনা কারণে নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছেন। রিপোর্ট প্রদানের সময় তাদের ঠিকানা বা মোবাইল নম্বরও মেলে না। তাছাড়া নমুনা দেওয়ার পর রিপোর্টের জন্য ৪-৫ দিন অপেক্ষা করতে হয়। এ সময় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি অনেককে সংক্রমিত করতে পারে। ফলে খুলনায় নমুনা পরীক্ষার ডাটাবেজ করা হচ্ছে। এতে ওই ব্যক্তি ও তাকে শনাক্তকারী জনপ্রতিনিধির নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর উল্লেখ থাকবে। নমুনা সংগ্রহ করা হলেই এ তথ্য প্রশাসনকে জানানো হবে। তারা করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানের আগ পর্যন্ত ওই বাড়িটি লকডাউনের ব্যবস্থা করবে। বৈঠকে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও বিভাগীয় কমিশনার ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর