মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্য খাত তাদের (সরকার) প্রায়োরিটিতে নেই। তারা এই জায়গাটাতে কোনো প্রাধান্য দেয় না। তাদের প্রধান্য একটাই, মেগা প্রকল্প তৈরি করে মেগালুট করা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলার পরিবর্তে সরকার ‘মেগা প্রকল্প’কে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। দেশে এখন দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। গতকাল দুপুরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবদুস সেলিমের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিলসহ চিকিৎসক নেতারা বক্তব্য দেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতিষ্ঠানটির উদ্ভাবিত কিট এখনো সরকার অনুমোদন দেয়নি। সব কিছুর পেছনে তাদের (সরকার) যে উদ্দেশ্যটা কাজ করেছে বা করছে সেই উদ্দেশ্যটা হচ্ছে দুর্নীতি। জনগণের সমস্যা সমাধান করার কোনো কাজ তারা করতে চাননি কখনো এবং করবেনও না। এটা একটা একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার। একদলীয় ফ্যাসিস্ট সরকার কখনো জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে না। তাই আসুন, এই দুঃসময়ে আমরা জনগণের পাশে দাঁড়াই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। মানুষের জীবিকা বাঁচানোর চেষ্টা করি। একই সঙ্গে এই রাষ্ট্র যেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হতে পারে তার জন্য আমরা সবাই কাজ করি।

বিএনপির চিকিৎসক সংগঠন ড্যাবের উদ্যোগে চিকিৎসক ও চিকিৎসক পরিবারকে সহযোগিতার জন্য অ্যাম্বুলেন্স সেবা সার্ভিস, মুমূর্ষু রোগীদের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবারহ, প্লাজমা ডোনার তালিকা প্রণয়ন, কভিড-১৯ আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার ব্যবস্থা কার্যক্রম উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান হয়। বিএনপি মহাসচিব ইন্টারনেটের মাধ্যমে বক্তব্যের পর ড্যাবের মগবাজার অফিসের সামনে থাকা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ অন্যান্য কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। আমাদের চিকিৎসকদের চিকিৎসা করবার জন্য যে সুরক্ষা দেওয়া, সেই সুরক্ষা দেওয়ার সুযোগটুকু তারা সৃষ্টি করতে পারেনি। এখনো যেটা করছেন  সেটা কতটুকু আমরা জানি না। আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেছি। আমরা পরিষ্কার অর্থে বলেছি, এমনকি যারা চিকিৎসা করছেন করোনাভাইরাসের বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের জন্য বড় বড় যে হোটেলগুলো রয়েছে, সেসব হোটেল নিয়ে নেওয়া হোক, তাদের সেখানে থাকার ব্যবস্থা করা হোক।

করোনাভাইরাস শনাক্ত পরীক্ষার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই ধরনের প্যান্ডেমিককে যদি মোকাবিলা করতে হয় সবার কাছে যে জিনিসটা দরকার  সেটা হচ্ছে সঠিক তথ্য। তারা সঠিক তথ্যটাও দিচ্ছে না, সঠিক তথ্য দেশের মানুষ সঠিকভাবে পাচ্ছে না। আক্রান্তের ব্যাপারে শুধু পরীক্ষাই পর্যাপ্ত নয়। এত অপর্যাপ্ত যে, সেটার সঠিক চিত্র তুলে ধরছে না। যেটুকু দেখা যাচ্ছে, শতকরা ২৩ জন শনাক্ত হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ জনে ২৩ জন শনাক্ত হচ্ছে। পরীক্ষায় সরকারের কোনো সক্ষমতা নেই। যে হারে সংক্রামণ বেড়েছে এবং বাড়ছে প্রতিনিয়ত এটা সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যেত যদি সরকার প্রথম থেকে আন্তরিক হতো এবং সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করত।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর