মঙ্গলবার, ২৩ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

কোরবানির চামড়া কিনতে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে অর্থ দেওয়ার প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোরবানির চামড়া নিয়ে গতবারের মতো বিপর্যয়কর পরিস্থিতি এড়াতে ট্যানারি মালিকদের পাশাপাশি চামড়া সংরক্ষণের জন্য কওমি মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ভাবছে সরকার। গতকাল শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোকে কাজে লাগানোর প্রস্তাব উঠে আসে। চামড়াশিল্প খাতের উন্নয়নে সুপারিশ ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এতে সভাপতিত্ব করেন।

 ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব কে এম আলী আজম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহিন আহমেদ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন প্রমুখ অংশ নেন।

আসছে ঈদে চামড়া কিনতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়া ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে চামড়াশিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের লাভের কথা বিবেচনা করে কাঁচা চামড়া ও লবণযুক্ত চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এতে ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত পরিমাণে চামড়া ক্রয় ও সংরক্ষণ করার সক্ষমতা অর্জন করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ট্যানারি মালিকদের ব্যাংক ঋণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, হাজারীবাগে ট্যানারি মালিকদের জমি থেকে রাজউকের ‘রেড জোন’ প্রত্যাহার করা হলে মালিকদের ঋণ পেতে সুবিধা হবে। ট্যানারি মালিকদের জন্য ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে আসন্ন ঈদুল আজহায় চামড়া পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজমুদার বলেন, কওমি মাদ্রাসাগুলো বহুদিন ধরে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে জড়িত। এ থেকে অর্জিত আয় দিয়ে ওই সব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। কোরবানি উপলক্ষে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা দিলে তারা আসন্ন কোরবানির ঈদে চামড়া ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর ট্যানারিগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকার চামড়া জমা আছে। ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করা ছাড়া অধিকাংশ ট্যানারি মালিকের পক্ষে চামড়া ক্রয় সম্ভব হবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর