বুধবার, ২৪ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

লকডাউন বাড়ল আরও ৭ দিন

পূর্ব রাজাবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

লকডাউন বাড়ল আরও ৭ দিন

পূর্ব রাজাবাজারের লকডাউনের সীমা আরও সাত দিন বাড়ল। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে সংক্রামক বর্জ্য (মাস্ক, গ্লাভস প্রভৃতি) মেশানো হলে ৭ জুলাই থেকে বাসাবাড়ি থেকে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে না। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা প্রস্তুত। লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।  গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে ডিএনসিসির সংক্রামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, লকডাউন ১৪ দিন থাকার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় আরও সাত দিন বাড়ানো হচ্ছে। অত্র এলাকার জনগণকে লকডাউন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের স্যালুট জানাই। পূর্ব রাজাবাজারের জনগণ যেভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে এগিয়ে এসেছেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত। ভবিষ্যতে যেসব এলাকায় লকডাউন হবে, সেখানে এটি উদাহরণ হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, লকডাউনে ইতিবাচক ফল আসতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে দুজন রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে বাকি সবাই সুস্থ হবেন।  মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, বাসাবাড়ি থেকে সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহে তিন লাখ ব্যাগ দেওয়া হবে। আমরা অনেকে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে সংক্রামক বর্জ্য মিশিয়ে ফেলছি। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। করোনা যেমন আমরা ম্যানেজ করে চলছি, আমরা যেভাবে মাস্ক পরা শুরু করেছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করছি, একইভাবে কভিড বর্জ্য বা সংক্রামক বর্জ্য যাতে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে মেশানো না হয়, সেদিকে আমাদের সচেষ্ট থাকতে হবে। সংক্রামক বর্জ্য পৃথকভাবে রাখার জন্য ডিএনসিসি প্রথমবারের মতো তিন লাখ ব্যাগ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিতরণ করবে। পরবর্তী সময়ে নগরবাসীকে নিজ উদ্যোগে ব্যাগ কিনে সংক্রামক বর্জ্য সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী যত্রতত্র না ফেলে এই ব্যাগে সংরক্ষণ করবেন। বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এসব সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করবেন। সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রতিটি অঞ্চলের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) এনে রাখা হবে। সেখান থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাতুয়াইলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ডিসপোজাল করা হবে। এ কাজ বাস্তবায়ন করতে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এই বর্জ্য যদি আমরা যত্রতত্র ফেলে কিংবা গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে মিশিয়ে ফেলি তাহলে সংক্রমণ রোগ আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে। আমাদের ওয়ার্ড কাউন্সিলররা প্রতিটি ওয়ার্ডে এ বিষয়ে প্রচারণা চালাবেন। সিদ্ধান্তের অপেক্ষা আছি : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘আমরা প্রস্তুত, লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।’ গতকাল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গত ১৬ জুন নগরভবনে কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়নবিষয়ক ডিএসসিসির কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে মেয়র তাপস বলেন, সুনির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করার পর ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকা লকডাউন করতে পারব। কিন্তু এর আগে আমাদের সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পেতে হবে। আমরা আশা করছি, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট কোন এলাকা লকডাউন করতে হবে এর তালিকা আমরা পেয়ে যাব। এরপর আরও ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা সেই নির্দিষ্ট এলাকা লকডাউন করতে পারব।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর