অবশেষে মুমূর্ষু, মৃত্যুফাঁদ ও ইরি খেত খ্যাত নারায়ণগঞ্জ-পঞ্চবটী-মুন্সীগঞ্জ-মোক্তারপুর সড়ক প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এখানে-সেখানে শতাধিক গর্তের মেরামত ও চিকিৎসা শেষে এখন সুস্থ হয়ে উঠেছে সড়কটি। এ রাস্তার বিষয়ে ৯ জুন বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘শতাধিক গর্ত যেন মরণফাঁদ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সড়কটির বেহাল দশায় হস্তক্ষেপ করেছিলেন খোদ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান। সড়কটি মেরামত হওয়ায় তিনি সেতু বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সরেজমিন দিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি মেরামত শেষে রোলিংয়ের কাজ চলছে। এ সড়কে প্রতিদিনই অন্তত চার-পাঁচটি ট্রাক উল্টে যেত। শুধু যানবাহনই নয়, শিল্পনগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ওই সড়কে পথচারী ও শ্রমিকরা চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন ওই সড়কটি যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়। বর্তমানে ওই রাস্তার পাশেই ফতুল্লা বিসিকে প্রায় ৫০০ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৪ লাখ শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন। এর ফলে প্রতিদিন লাখো শ্রমিক এ সড়ক দিয়ে চলাফেরা করছেন। রাস্তা পার হতে গিয়ে প্রায়ই তারা দুর্ঘটনার শিকার হতেন। এ বিষয়ে বিকেএমইএর সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এ এইচ আসলাম সানী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই এ রাস্তার বেহাল দশা ছিল।

এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন প্রায় ৪ লাখ শ্রমিক। শ্রমিক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো যে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে তার বিনিময়ে এ রাস্তার পাশে বাগান হওয়া দরকার। তবে রাস্তাটি মেরামত হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বস্তি ফিরে পাবে। এ রাস্তার মেরামত কাজের জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এমপি শামীম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাই।’

এ বিষয়ে গতকাল বিকালে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সড়কের বেহাল দশা নিয়ে সেতু বিভাগের মন্ত্রী মহোদয়, চেয়ারম্যান ও সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে নজরে এনেছিলাম। বাংলাদেশ প্রতিদিনে “শতাধিক গর্ত যেন মরণফাঁদ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে। ফতুল্লা বিসিকের ব্যবসায়ীরাও তাদের দুর্ভোগ নিয়ে বারবার আমাকে জানিয়েছেন। চেষ্টা সফল হয়েছে আল্লাহর ইচ্ছায়।’

তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন থেকে সেতু বিভাগের মন্ত্রী ও সচিব মহোদয়কে দোয়া করি। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তাটি মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।’ তিনি আরও জানান, অচিরেই এখানে ৬ কিলোমিটার মুন্সীগঞ্জ-মোক্তারপুর সড়ক পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণকাজ শুরু হবে।