ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে সংক্রামক বর্জ্য (যেমন ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস) মেশালে সিটি করপোরেশন তা সংগ্রহ করবে না। আগামী ৭ জুলাই থেকে এসব মেশানো বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে না। গতকাল রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে ডিএনসিসির সংক্রামক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। মেয়র বলেন, অনেকে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে সংক্রামক বর্জ্য বা কভিড বর্জ্য এক সঙ্গে অনেক সময় মেশানো হচ্ছে। এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কভিড বর্জ্য বা সংক্রামক বর্জ্য যাতে গৃহস্থালি বর্জ্যরে সঙ্গে মেশানো না হয় সেদিকে আমাদেরকে সচেষ্ট থাকতে হবে। সংক্রামক বর্জ্য পৃথকভাবে রাখার জন্য ডিএনসিসি প্রথমবারের মতো ৩ লাখ ব্যাগ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে বিতরণ করবে। পরবর্তীতে নগরবাসীকে নিজ উদ্যোগে ব্যাগ কিনে সংক্রামক বর্জ্য সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী এই ব্যাগে সংরক্ষণ করবেন। বাসাবাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহকারী কর্মীরা প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার এ সব সংক্রামক বর্জ্য সংগ্রহ করবে। এগুলো প্রতিটি অঞ্চলের একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে (এসটিএস) এনে রাখা হবে। পরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মাতুয়াইলে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ডিসপোজাল করা হবে। পূর্ব রাজাবাজার এলাকার যেসব বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী আছে তাদের প্রত্যেকের বাসায় ১০টি করে ব্যাগ দেওয়া হবে। পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, লকডাউন ১৪ দিন থাকার কথা ছিল। তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনায় আরও সাতদিন বাড়ানো হচ্ছে।

এসময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান ইরান উপস্থিত ছিলেন।