খুলনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চরম অক্সিজেন সংকট দেখা দিয়েছে। অধিক সংখ্যক মুমূর্ষু রোগীকে একই সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ ভেন্টিলেটর স্থাপন করা হলেও সেখানে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। বিকল্প উপায়ে অক্সিজেন ব্যাংক সিস্টেম চালু করতে বর্তমানে একই সঙ্গে ১৫টি বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইসিইউর বাইরে থাকা মুমূর্ষু রোগীর জন্যও আলাদাভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের প্রয়োজন হচ্ছে। এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে ডেডিকেটেড হাসপাতালে চরম অক্সিজেন সংকট দেখা দেয়। এর মধ্যে গতকাল সকালে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে একই সঙ্গে দুজন করোনা রোগীর মৃত্যু হলে স্বজনরা অভিযোগ করেন, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় অক্সিজেনের অভাবেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসা সমন্বয়ক ডা. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ অধিক সংকট মুমূর্ষু রোগীকে একই সঙ্গে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হলে সিলিন্ডারের অভাব দেখা দেয়। তবে অক্সিজেন সংকটে ওই রোগীর মৃত্যু হয়নি। আগে থেকেই রোগীরা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন। চাহিদা মেটাতে জরুরি ভিত্তিতে ২০০ ছোট-বড় অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। জানা যায়, বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৫৯ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ শয্যা থাকলেও গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন ১৩ জন। তাদের নিয়মিত অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এ কারণে হাসপাতালের অক্সিজেন সরবরাহ দ্রুত শেষ হয়ে আসছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, জরুরি চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক থেকে ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ডেডিকেটেড হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়, করোনা চিকিৎসায় নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে অক্সিজেন লিক্যুইড প্লান্টের বিকল্প নেই। কিন্তু ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ ধরনের প্লান্ট স্থাপনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।