বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

স্মার্ট মিটার ব্যবহার করতে পারলে বিলের অভিযোগ উঠত না

-বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের বিল নিয়ে কিছু অভিযোগ এসেছে। স্মার্ট মিটার ব্যবহার করতে পারলে এ অভিযোগ উঠত না। বিল নিয়ে প্রাপ্ত অভিযোগ যথাযথভাবে সমাধান করা হবে। গতকাল সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘কভিড-১৯ ও বাজেট ২০২০-২১ পর্যালোচনা : বিদ্যুৎ খাতে বণ্টনের অগ্রাধিকার এবং বিকল্প প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। নসরুল হামিদ বলেন, মহাপরিকল্পনায় প্রদর্শিত পন্থায় পরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন করা হচ্ছে। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১০ পর্যালোচনা করে পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান-২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে। জ্বালানি মিক্স, উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আরও যুগোপযোগী করা হয়েছে।

দেশে বিদ্যুতের কোনো ওভার ক্যাপাসিটি নেই।

তিনি বলেন, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিস্তারে সহযোগিতা করছে। ৫৮ লাখ সোলার হোম সিস্টেম সংযোজন করা হয়েছে। মিনি গ্রিডের মাধ্যমেও সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। নেট মিটারিং সিস্টেম প্রচলন করা হয়েছে। প্রয়োজনে প্রণোদনাও দেওয়া যেতে পারে। ১০০ মেগাওয়াটের একটি সোলার বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে প্রায় ৩৫০ একর অকৃষি জমি লাগে, যা আমাদের দেশে পাওয়া খুবই দুষ্কর।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আলোচনাকলে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, যৌক্তিক ও সহনীয় মূল্যে নির্ভরযোগ্য ও মানসম্মত বিদ্যুৎ, দক্ষতা ও স্বচ্ছতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়ানো যাবে, স্বচ্ছতাও তত বাড়বে। সব স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক বিদ্যুৎ বাণিজ্য নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নেপালের জলবিদ্যুৎ আমরা গ্রীষ্মকালে ব্যবহার করতে পারি। অন্যদিকে শীতকালে নেপাল বা ভুটানের বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকায় আমাদের কাছ থেকে তারা নিতে পারে। এতে উভয় পক্ষ উপকৃত হবে।’

এ সময় তিনি ইলেকট্রিক ভেহিকলের ব্যবহার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘জ্বালানি হিসেবে তেল ইঞ্জিনের চেয়ে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনের দক্ষতা অনেক বেশি। তাই ইলেকট্রিক ভেহিকল ব্যবহার করা লাভজনক।’

প্যানেল আলোচক হিসেবে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. মো. ফওজুল কবির খান, স্রেডার সাবেক সদস্য সিদ্দিক যোবায়ের ও বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ইমরান করিম বক্তব্য দেন।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর