শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

মানুষ বাঁচানোর জন্য এই বাজেট হয়নি

ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপির এমপিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট মানুষ বাঁচানোর জন্য হয়নি। এ বাজেট করোনাকালীন স্বাস্থ্য খাতের বাজেট হয়নি। এতে শুধু মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর প্রতিযোগিতার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বাজেট অস্বাভাবিক ও কল্পনাবিলাসী। এতে করোনাকালীন এই সংকট উত্তরণে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। চলমান করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজেট পর্যালোচনা নিয়ে গতকাল বিকালে এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তারা এ অভিযোগ করেন। বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম  মোহাম্মদ সিরাজের (জি এম সিরাজ) পরিচালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার, হারুনুর রশিদ, মোশাররফ হোসেন, জাহেদুর রহমান, আমিনুল ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।   উকিল আবদুস সাত্তার বলেন, সরকার করোনা সংকটের সময় অবাস্তব কথা বলছে এটা সত্যিই দুঃখজনক। এই সংকটের মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। সব দল থেকে লোক নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি করা হোক। কিন্তু সরকার এই আহ্বানকে কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না। এর কারণ তারা কেউ তো আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন, যে বাজেট ঘোষণা হওয়া উচিত ছিল তা আপদকালীন এবং সংকট উত্তরণের বাজেট। কিন্তু তা আমরা দেখিনি। এটা একটা গতানুগতিক স্বাভাবিক বাজেট বলে আমার মনে হয়েছে। করোনাকালীন বাজেট হয়নি।

হারুনুর রশীদ বলেন, এটা একটা অস্বাভাবিক এবং কল্পনাবিলাসী বাজেট। করোনাকালীন সংকট উত্তরণের জন্য আমাদের যে রোডম্যাপ দরকার ছিল এই বাজেটে কোনো ধরনের নির্দেশনা নেই। তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সরকার দেশের সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে, যাতে তারা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকতে পারে।

আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারের কাছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রয়েছে। এখন আমি বলব, এই মুহূর্তে ব্যাংক থেকে লোন না নিয়ে রিজার্ভ টাকা থেকে ৫ বা ১০ মিলিয়ন ডলার ব্যাংকে দিয়ে দেন। ব্যাংকে ঠিক থাকলে আবার আমাদের অর্থনীতি গড়ে উঠবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বাজেটের আকার এত বড়! বাস্তবায়ন কীভাবে হবে? এই টাকা কোথা থেকে আসবে?

জাহেদুর রহমান বলেন, করোনা শুরু থেকেই সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মূলত তাদের এই ব্যর্থতার কারণেই দেশের এই হাল।

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, সরকার চাইলেই সংসদ অধিবেশন এক মাসব্যাপী ভার্চুয়ালি চালাতে পারত। তাতে করে সংসদ সদস্যরা বাজেট বিষয়ে মন খুলে তাদের মতামত দিতে পারতেন। মূলত সরকারের ভুলগুলো ঢাকা দেওয়ার জন্যই এক দিনের মধ্যে বাজেটের আয়োজন করেছে তারা। 

সর্বশেষ খবর