শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
বরিশাল

করোনাকালে ছাঁটাই আতঙ্কে পরিবহন শ্রমিকরা

রাহাত খান, বরিশাল

করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ২ মাসের অধিক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকাকালে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হয়নি। ২ মাস পর পয়লা জুন থেকে ফের যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ার পর এবার শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই শুরু করেছে পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষ। গত প্রায় ১ মাসে শুধু বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে ৮ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে। দীর্ঘদিনের কর্ম হারিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েছেন তারা। এক মাসে ৮ জন শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই হওয়ায় চাকরি হারানোর আতঙ্কে আছেন বরিশালের হাজারও পরিবহন শ্রমিক-কর্মচারী। এ সময় শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ। চাকরিচ্যুত মো. হাসু বলেন, ১৭ থেকে ১৮ বছর তিনি সাকুরা পরিবহনে কলার বয়ের চাকরি করেছেন। করোনার কারণে মালিক চালাতে পারছেন না অজুহাত দেখিয়ে তিনিসহ অনেককে ছাঁটাই করা হয়েছে। হঠাৎ চাকরিচ্যুত হওয়ায় তিনিসহ প্রত্যেকে পড়েছেন বিপদে। একই অভিযোগ করেছেন চাকরিচ্যুত অন্যান্য শ্রমিক-কর্মচারী। তারা বলেন, সরকার বাসের ভাড়া ৬০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। এখন তাদের লোকসান হয় না। তার পরও তারা নানা অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই করে তাদের বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন। সাকুরা পরিবহন বরিশালের ম্যানেজার মো. আনিছুর রহমান বলেন, বরিশাল থেকে আগে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রিপ বাস চলাচল করত। এখন সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ ট্রিপ দিচ্ছেন।

এতেও যাত্রী হয় না। ১০-১২ জন যাত্রী নিয়ে একেকটি বাস গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে খরচের টাকাও উঠছে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে খরচ সাশ্রয়ের জন্য কিছু শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে।

বরিশাল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা বিষয়টি শ্রমিক ইউনিয়নকে অবহিত করেনি। তিনি শ্রমিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই বন্ধ এবং ছাঁটাইকৃতদের ফের কাজে ফেরানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান।

বরিশালের জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান বলেন, ২ মাস বন্ধ থাকার পর পরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। সরকার পরিবহনের ভাড়াও বাড়িয়েছে। এই অবস্থায় ছাঁটাই করা যুক্তিসঙ্গত নয়। এই মুহূর্তে শ্রমিক-কর্মচারী ছাঁটাই করা অমানবিক।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর