শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের লুকোচুরি

আক্রান্তের চেয়ে উপসর্গে মরছে বেশি

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীর পুঠিয়ায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। গত ১২ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক ব্যক্তির শরীরে প্রথম করোনা ধরা পড়ে। এরও এক মাস পরে গত ১ মে রাজশাহী নগরীতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। একসময়ের করোনামুক্ত শহর সেই রাজশাহীতেই বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আক্রান্ত ২৬১ জন। আর জেলায় এক মাসে বেড়েছে ৩৫৭ জন। গত কয়েকদিন ধরে নগরীতেই প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ফলে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। বাড়ছে মৃত্যুর হারও। কিন্তু তারপরও যেন ভাবলেশহীন মানুষ। গত ৩১ মে থেকে লকডাউন সিথিল করার পর রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে শুরু করে সবখানেই মানুষের ভিড় এখন লেগেই থাকছে। তবে আক্রান্ত হয়ে মানুষ যে পরিমাণ মারা গেছে, তার চেয়ে কয়েকশ গুণ বেশি মানুষ মারা গেছে উপসর্গ নিয়ে। গত এক মাসে রাজশাহীতে অর্ধশত মানুষ মারা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে। কোনো চিকিৎসা না পেয়ে মারা যাওয়া এসব মানুষের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও স্বাস্থ্যবিভাগ সেগুলো প্রকাশ করছে না। ফলে ওই পরিবারের সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। রাজশাহী সিভিল সার্জনের দফতর থেকে দেওয়া তথ্য মতে, গত ১৫ মে পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৯ জন। সেটি গত ২০ মে গিয়ে দাঁড়ায় ২৫ জনে। অথচ বৃহস্পতিবার সকালে সেটি গিয়ে দাঁড়ায় ৩৫৭ জনে। অর্থাৎ গত এক মাসেই রাজশাহীতে ৩০০ জনের বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ১৫ দিনেই রাজশাহীতে অর্ধেক রোগী বেড়েছে। গত ১২ জুন রাজশাহীতে মোট করোনা আক্রান্ত রোগী ছিল ১২৪ জন। এর মধ্যে নগরীতে ছিল ৪৫ জন। সেখানে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী শহরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২৬ জনে। ফলে গত ১২ দিনেই রাজশাহী নগরীতে দেড় শতাধিক রোগী আক্রান্ত হয়েছেন।

এর মধ্যে মারা গেছেন তিনজন। রাজশাহীতে গত শুক্রবার পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ৯ জন।

 রাজশাহীর সিভির সার্জন এনামুল হক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ এখন রাজশাহীতে সামাজিক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। এটির অন্যতম কারণ মানুষের মাঝে সচেতনতার অভাব। এখান থেকে আমাদের দ্রুত বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।’

  প্রতিদিনের তালিকা প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন বলেন, ‘হাসপাতালগুলো যে পরিমাণ রোগীর সংখ্যা বলে, আমরাও সেগুলো তালিকাভুক্ত করি। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর