শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় লকডাউনের নতুন ফর্মুলা কাজে লাগছে

কঠোর অবস্থানে পুলিশ, কাজ করছে স্বেচ্ছাসেবকরা

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় লকডাউনের নতুন ফর্মুলা কাজে লাগছে

খুলনা নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবেশ পথগুলো বাঁশ দিয়ে আটকে চলাচল বন্ধ করা হয়েছে -বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনা প্রতিরোধে খুলনা মহানগরীকে কয়েক দফা অঘোষিত লকডাউনের আওতায় এনেও সংক্রমণ কমানো যায়নি। বরং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দোকানপাট খোলা, পাড়া-মহল্লায় আড্ডা, যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এ কারণে পুরো শহরের বদলে পরীক্ষামূলক দুটি ওয়ার্ডকে এবার রেডজোন ঘোষণা করে ডকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে ১৬ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ওয়ার্ড দুটির প্রবেশ পথগুলোকে বাঁশ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে।  সেখানে দুই শিফটে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছে। রেডজোনে প্রবেশ ও বের হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। রিক্সা, ভ্যান, সিএনজি, মোটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ যানবাহন চলছে না। খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, একই সঙ্গে সব এলাকাকে লকডাউন করলে তা’ কেউ মানবে না। এ কারণে অধিক সংক্রমিত এ ওয়ার্ড দুটিকে লকডাউন করা হয়েছে। এখানে থাকা চাকরিজীবীরা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন। তবে জরুরি প্রয়োজনে অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। জানা যায়, রেডজোন এলাকায় ভ্যানে করে কাঁচাবাজার, মাছ বিক্রি ও ওষুধের দোকান খোলা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সেখান থেকে পণ্য সংগ্রহ করা যাবে। তবে প্রথম দিনে সমন্বয়হীনতায় ২৪ নং ওয়ার্ডে বাঁশের বেড়া টপকে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেনি। এতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাজ বন্ধ ছিল। এ ছাড়া বিদ্যুতের গাড়ি প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।

জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংকার, চাকরিজীবীরাও বাইরে যেতে পারেননি। কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়েছেন অনেকে।   

তবে লকডাউন কার্যকর করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ১৭নং ওয়ার্ডে ২৪টি পয়েন্ট ও ২৪ নং ওয়ার্ডে ২৩টি পয়েন্ট করা হয়েছে। সেখানে পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছে। যে কোনো প্রয়োজনে পুলিশ মানুষের পাশে থাকবে। জানা যায়, করোনা সংক্রমণ খুলনায় উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৭, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি এলাকায় রেডজোন ঘোষণা করা হয়েছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর