রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

সিলেটে তারের জঞ্জাল অপসারণ

ইন্টারনেট বিপর্যয়ের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

দেশের প্রথম ‘তারবিহীন’ নগরী হচ্ছে সিলেট। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সিলেট নগরীর প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাকে করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক খুঁটি আর তারবিহীন। গতকাল নগরী চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত এলাকায় ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন ধরনের তারের (ক্যাবল) জঞ্জাল অপসারণ কাজ শুরু করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এর ফলে ইন্টারনেট বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) অর্থায়নে ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সহযোগিতায় সিলেট নগরীতে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৫৫ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৭ কিলোমিটার এলাকায় বৈদ্যুতিক তার, সরকারি ইন্টারনেট ও টেলিফোনের ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে নগরীর দরগাহ গেট থেকে শাহজালাল (রহ.) মাজারের প্রধান ফটক পর্যন্ত সড়ককে তার ও খুঁটিবিহীন করা হয়েছে। এবার চৌহাট্টা থেকে জিন্দাবাজার হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত সড়কে বিদ্যুৎ, সরকারি সংস্থার ইন্টারনেট ও টেলিফোন ক্যাবল মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফলে মাটির উপরের সব ধরনের তারের জঞ্জাল অপসারণ করতে শুরু করেছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। গতকাল বৃষ্টির মধ্যেই তার অপসারণ কাজ শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিসিক সূত্র জানায়, সিলেট নগরীতে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প এলাকায় যেসব বেসরকারি ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ প্রতিষ্ঠানের ক্যাবল আছে, সেগুলো অপসারণ করতে সিসিকের পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে। তাদেরকে নিজ খরচে ইন্টারনেট ও ডিশ ক্যাবল মাটির নিচে নেওয়ার তাগদা দেয় সিসিক। কিন্তু ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএ) এ নিয়ে গড়িমসি শুরু করে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সিসিকের পক্ষ থেকে প্রকল্প এলাকার তারসমূহ অপসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েও সময় দেওয়া হয় আইএসপিএ-কে। কিন্তু তারপরও তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এবার অপসারণ কাজ শুরু করেছে সিসিক।

এর ফলে ইন্টারনেট বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা করতে বেসরকারি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো সাড়া দেননি। সঠিক সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হলে এগুলো অপসারণ করা ছাড়া পথ নেই।’

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহার হোসেন বলেন, ‘আমাদেরও কিছু দোষ ছিল। তবে আমরা সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ড্রেনের পাশে সড়কের ৬ ইঞ্চি নিচে পাইপের মধ্য দিয়ে ক্যাবল নেওয়া হবে। সিসিকের কাছে আমরা এক মাস সময় চেয়েছি। তারা অনুমতি দিলে আমরা কাজ শুরু করব।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর