রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রাম কারাগার যেভাবে সুরক্ষিত করোনা থেকে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব থেকে এখনো সুরক্ষিত চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার। কারাগারকে সুরক্ষিত রাখতে প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই ভিতরে বাইরে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে কারা কর্তৃপক্ষ। ফলে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হননি বন্দীর কেউ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘বন্দীদের করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কারণে এখন পর্যন্ত বন্দীর কেউ করোনা আক্রান্ত হননি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নেওয়া উদ্যোগগুলো অব্যাহত রাখা হবে।’

জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতির শুরু থেকেই নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে রয়েছে- আরপি গেট এবং প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশের আগে কারারক্ষী ও বন্দীদের তাপমাত্রা নিশ্চিত হয়ে এবং জীবাণুমুক্ত করে প্রবেশের অনুমতি প্রদান, নতুন আসা বন্দীদের ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, একই সঙ্গে রিমান্ড ও চিকিৎসা ফেরত বন্দীদেরও বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা। ছুটি থেকে যোগদানের পর কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যকতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা, তাদের দায়িত্ব পালনের সময় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, ভাইরাস জিরো দিয়ে প্রতিদিন দুবার করে কারাগারে স্প্রে করা, প্রবেশকারীদের প্রধান ফটকে বসানো জীবাণুনাশক চেম্বারে বাধ্যকতামূলক প্রবেশ করিয়ে জীবাণুমুক্ত করা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বন্দীদের বাধ্যকতামূলক মাস্ক পরা, কারাভ্যন্তরে দায়িত্ব পালনকারীদের বাইরে ঘোরাফেরা সম্পূর্ণ বন্ধ অন্যতম। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ধারণক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি বন্দী। তাই এ কারাগারকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বন্দী কারও করোনা যদি একবার ছড়িয়ে পড়ে তাহলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। কিন্তু ভাগ্য সুপ্রসন্ন এখন পর্যন্ত কোনো বন্দী করোনা আক্রান্ত হননি।

সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘কারারক্ষী ও বন্দীদের সচেতন করতেও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কারাগারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন লাগানো হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর