সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

ভার্চুয়ালে ভেঙে পড়েছে বিচার ব্যবস্থা, নিয়মিত আদালত খুলে দেওয়ার দাবি

আদালত প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আদালত খুলে দেওয়ার পাশাপাশি এ সংক্রান্ত যে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি। গতকাল আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হোসেন আলী খান এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম মাসুম সাংবাদিকদের জানান, ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার কারণে উপার্জনে টান পড়ায় আইনজীবীদের মধ্যে ‘ক্ষোভ ও অসন্তোষের’ কথা তুলে ধরা হয়েছে ওই চিঠিতে। এছাড়া আইনজীবীদের প্রশিক্ষণবিহীন ভার্চুয়াল আদালত অধিকাংশ ক্ষেত্রে সফলতার মুখ দেখছে না। তাই ভার্চুয়াল আদালতের কারণে ঐতিহ্যবাহী বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

সে কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে নিয়মিত আদালত খুলে দেওয়া প্রয়োজন। চিঠিতে প্রস্তাবিত ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার আইন-২০২০’ জাতীয় সংসদে পাস না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এদিকে ভার্চুয়াল আদালতে সব আইনজীবীর সমান সুযোগ নেই-এ অভিযোগ এনে নিয়মিত আদালত চালুর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মনববন্ধন করেছে সাধারণ আইনজীবী পরিষদ। গতকাল বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে সাধারণ আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে আইনজীবীরা মানববন্ধন ও সমাবেশে অংশ নেন। ঢাকা বার শাখার আহ্বায়ক নিজামুল হক মোল্লসহ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আইনজীবীদের বক্তব্য, ভার্চুয়াল আদালতে সব আইনজীবী সমান সুযোগ পান না। এখানে শুধু জামিন শুনানি হয়। কিন্তু আসামির আত্মসমর্পণ, চলমান মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, নালিশি মামলা দায়ের করা সম্ভব হচ্ছে না। অব্যবস্থাপনা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। এতে অধিকাংশ আইনজীবীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এরআগে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতে সাধারণ ছুটিতে আদালত বন্ধ রেখে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। পরে গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ-২০২০’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়। এ কারণে সংসদে প্রতিবেদন দিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর