সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা
কোরবানির ঈদ

বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

বাজার অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ভোগ্যপণ্য ও মসলার মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা অভিযান চালান -দিদারুল আলম

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে নগরীর খাতুনগঞ্জে মসলার দাম বৃদ্ধির কারণে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। এ সময় বেশি দামে মসলা বিক্রি, মূল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার কারণে ৪ ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। খাতুনগঞ্জের মেসার্স নারায়ণ ভান্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা ও মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার  টাকা অর্থদন্ড  দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। যেখানে দেখা যায়, কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে তাদের ক্রয়মূল্যে অনেক পার্থক্য। যেমন ২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার ওপরে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে। আবার অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের সাঁটানো মূল্য তালিকায় কাটাছেঁড়া করে কমিয়ে রাখেন, যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে।

 দেখা যায় ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০-৪০০ টাকা, গোলমরিচ ৪২০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা, ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতেন। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেট আসায় তারা দাম অনেক কমিয়ে লিখে রাখেন যা হাতেনাতে ধরা পড়ে।

জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোরবানির ঈদ সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই বাজার মনিটরিংয়ের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বাজার স্থিতিশীল রাখতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর