সোমবার, ২৯ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

নারীর চেয়ে পুরুষের মৃত্যু তিনগুণ

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে মারা গেছেন ১৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৩১ জন এবং নারী ৩৮ জন। এ হিসাবে দেখা যায়, নারীর চেয়ে পুরুষের মৃত্যু তিনগুণের চেয়ে বেশি। তাছাড়া মৃত্যুর মধ্যে ৬১ বা তদূর্ধ্ব বয়সীদের সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত ৬১ বা তদূর্ধ্ব বয়সী মৃত্যুর মধ্যে ৬২ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী রয়েছেন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গত ২৮ জুন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের নিয়ে তৈরি প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। গত শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ৭ হাজার ৬৮৯ জন। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৩৩ জন, হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬০৬ জন, আইসোলেশনে আছেন ৩৬১ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১৩৯ জন। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুন পর্যন্ত শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একটি শিশু ও একটি কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী মহিলা মারা যান একজন। ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী মারা যান ৪ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী পুরুষ ৭ জন ও মহিলা ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষ ২৩ জন ও মহিলা ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষ ৩৪ জন ও মহিলা ১২ জন এবং ৬১ তদূর্ধ্ব বয়সী পুরুষ ৬০ জন ও মহিলা ৮ জন। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সীদের মৃত্যু বেশি হয়েছে। কারণ এই বয়সীদের ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, হৃদরোগসহ নানা সমস্যা থাকে। তাই তারা সহজে আক্রান্ত হন এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই বাসার বয়স্ক মানুষদের প্রতি সবার সব সময় সতর্ক ও সচেতন থাকা দরকার।’ জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে উপজেলার চেয়ে মহানগরের সংখ্যা বেশি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৩১ জন এবং ১৪ উপজেলায় মারা গেছেন ৩৮ জন।

 নগরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় হালিশহরে ১৬ জন, এরপর কোতোয়ালিতে ১৪ জন এবং উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় সীতাকুন্ডে ৭ জন। চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয় ৭ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৫ হাজার ২৪১ জন, ৬৮ শতাংশ এবং  উপজেলায় ২ হাজার ৪৪৮ জন, ৩২ শতাংশ। তবে মিরসরাই উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যু নেই। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় হাটহাজারিতে ৪২৩ জন। এরপর পটিয়ায় ২৭৫ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর