মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০ ০০:০০ টা

স্ত্রী-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক নান্নুকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুকে হত্যার অভিযোগে তার স্ত্রী শাহীনা হোসেন ও শাশুড়ি শান্তা পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলাটি দায়ের করেন নান্নুর ভাই নজরুল ইসলাম খোকন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রাজ্জাক  বলেন, শুরু থেকেই সাংবাদিক নান্নুর মৃত্যু নিয়ে সহকর্মীসহ অনেকের অভিযোগ ছিল। তারা যাওয়ার পর পরই তার স্ত্রীর করা অস্বাভাবিক মৃত্যুর (ইউডি) সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত চলছিল। ওই মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। এখন নতুন করে হত্যা মামলার তদন্ত করা হবে। এটি দুর্ঘটনা না হত্যাকান্ড জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি দুর্ঘটনা না হত্যাকা- তদন্তে তা জানা যাবে। রাজধানীর বাড্ডার আফতাবনগরের তিন নম্বর সড়কের বি-ব্লকের ৪৪/৪৬ নম্বর বাসার দশম তলায় থাকতেন দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নু। গত ১২ জুন ভোরে সেখানে রহস্যজনক আগুনে তিনি গুরুতর দগ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ২ জানুয়ারি একই ঘরে অগ্নিকান্ডে মারা যায় তার ২৪ বছর বয়সী ছেলে স্বপ্নীল আহমেদ পিয়াস। তার খাওয়ানো স্যুপে বিষ  মেশানো ছিল বলে ঘটনার শুরু থেকে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সব অভিযোগ তদন্ত করে দেখছে। হত্যা মামলার এজাহারে বাদী নজরুল ইসলাম বলেন, নান্নু বাসায় েফরার পর স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর কিছু সময় পর বাসায় আগুন লাগে। এ ছাড়া নান্নু একাই ছাদে গিয়ে পাইপ এনে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। তার স্ত্রী ও শাশুড়ি আগুন নেভানোর চেষ্টা করেননি। নান্নু নিজেই দশম তলা  থেকে হেঁটে (সিঁড়ি দিয়ে) নিচে নামেন। সেখান থেকে আশপাশের ফ্ল্যাটের মালিকরা তাকে হাসপাতালে নেন। তার স্ত্রী অনেক পরে হাসপাতালে যান। এ ছাড়াও মামলার এজাহারে, নান্নুর স্ত্রী ‘ইনফিনিটি’ নামে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা সন্দেহজনক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগ থাকায় আগেই ইনফিনিটির প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তখন তিনি নান্নুর সঙ্গে তার পরিচয়, সম্পর্ক ও অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন। তবে সেখানে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নান্নুকে যে স্যুপ খাওয়ান,  সেখানে বিষ মেশানো ছিল বলে সন্দেহ করছেন কেউ কেউ। সেটি তদন্তের জন্য এরই মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বিষক্রিয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ভিসেরা পরীক্ষার প্রয়োজন। তবে লাশের ময়নাতদন্ত না করায় তখন ভিসেরা নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এখন লাশ তুলে ময়নাতদন্ত করা হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর