বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
পুলিশ বক্সে জঙ্গি হামলা

হদিস নেই পরিকল্পনাকারীসহ পলাতক জঙ্গিদের

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলায় জড়িত কমপক্ষে ১২ জঙ্গির হদিস পাচ্ছে না পুলিশ। পলাতক জঙ্গিকে প্রায় সবার ঠিকানাসহ আদ্যপান্ত পুলিশের কাছে থাকলেও ছুতে পারেনি তাদের টিকিটিও। অপরাধ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এসব জঙ্গিদের গ্রেফতারের আওতায় আনা না গেলে ফের ঘটবে একই ধরনের ঘটনা। সিএমপি’র কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘পুলিশ বক্সে হামলার সংশ্লিষ্ট পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনা যাবে।’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পলাতক জঙ্গিদের গ্রেফতার করা না গেলে আরও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ মামলার তদন্তকারী সংস্থার সিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘জঙ্গিদের গ্রেফতারে বেশ কয়েকটি অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’ জানা যায়, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার পর নব্য জেএমপি’র দিকে সন্দেহ করে তদন্ত শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ঘটনার তিন মাস পর গত মে মাসে এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন জনকে গ্রেফতার করে সিএমপি’র কাউন্টার টেরোজিম ইউনিট। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গি সাইফুল্লাহ, এমরান এবং আবু সালেহকে জিজ্ঞাসাবাদে এ হামলার পরিকল্পনা, উদ্দেশ্যসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে আসে। গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে উঠে আসে নব্য জেএমবি’র বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাদের ভাষ্যে সেলিম উদ্দিন, আসিফ, রাজ্জাক জহির, নোমান, মোরশেদ, সাদেক, মহিউদ্দিন, হাবিব, মাঈনুল, কায়সার, সাহেদসহ কমপক্ষে ১৫ জঙ্গির নাম বের হয়। তাদের মধ্যে আসিফ, সেলিম উদ্দিন পুলিশ বক্সে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী এবং রাজ্জাক রিক্রুট করা জঙ্গিদের মগজ ধোলাই করে বলে ধারণা করছে প্রশাসন। তদন্তে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, পুলিশ বক্সে হামলার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে উঠেছে তারা প্রায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের দুটি উপজেলার বাসিন্দা। তারা আগে থেকেই সম্পৃক্ত ছিল। তারা এক সময় জামাত শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। প্রসঙ্গত, ২৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর ২ নম্বর গেটে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আইএস দায় স্বীকার করলেও তা অস্বীকার করেছে  আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ নব্য জেএমবির দিকে সন্দেহের তীর  ছোড়ে তদন্ত শুরু করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর