বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সংকটে হিমশিম শেবাচিম

রাহাত খান, বরিশাল

সংকট কাটছেই না শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম)। জনবল কাঠামো অনুযায়ী চিকিৎসক থাকার কথা ২২৪ জন। কিন্তু মাত্র ৯৭ জন কর্মরত। বাকি ১২৭ চিকিৎসকের পদ শূন্য ৩৬০ শয্যার শেবাচিমে। অথচ এ হাসপাতাল এক হাজার শয্যায় উন্নীত হয়েছে ১০ বছর আগে। তবে সে অনুযায়ী জনবল কাঠামো অনুমোদন হয়নি আজ পর্যন্ত। স্বাভাবিক সময়ে এ হাসপাতালে গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন দুই হাজারের ওপর। করোনার প্রভাবে বর্তমানে রোগীর চাপ কিছুটা কম। সেই হিসাবে সোমবার রোগী ভর্তি ছিলেন ৬৮৫ জন। সংকট রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেলে ল্যাব টেকনোলজিস্টের। ফলে চিকিৎসা দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে দক্ষিনাঞ্চলের উন্নত চিকিৎসার একমাত্র ভরসাস্থল শেবাচিম কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৯৬৮ সালে ৩৬০ শয্যার শেবাচিমের যাত্রা শুরু হয়। এর মধ্যে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশালে এক জনসভায় শেবাচিম এক হাজার শয্যায় উন্নীতকরণের ঘোষণা দেন। শয্যা সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, আয়াসহ অন্য পদের জনবল। উল্টো ৩৬০ শয্যার জনবলেও রয়েছে বিস্তর ঘাটতি। হাসপাতালের ২২টি বিভাগীয় প্রধান পদে বর্তমানে অধ্যাপক রয়েছেন মাত্র একজন। গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের একাধিক চিকিৎসক পদ শূন্য থাকায় রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, ৩৬০ শয্যার জন্য মঞ্জুরিকৃত ২২৪টি চিকিৎসক পদের বিপরিতে ১২৭টি পদই শূন্য। টেকনোলজিস্ট রয়েছেন মাত্র ছয়জন। নার্স ব্যতীত অন্য পদে ৩৬০ শয্যার জনবল কাঠামোর অর্ধেকেরও বেশি পদ শূন্য। স্বাভাবিক সময়ে মাত্র ৯৭ জন চিকিৎসক দিয়ে পালা করে সেবা দিয়েছেন দুই হাজারের বেশি রোগীর। চিকিৎসকসহ অন্য জনবলের তীব্র সংকটের মধ্যেও গড়ে প্রায় ৭০০ রোগীর সেবা দিচ্ছেন প্রতিদিন। তিনি অনুযোগের সুরে বলেন, সবাই চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে কথা বললেও চিকিৎসক সংকটের কথা কেউ বলে না। কীভাবে হাসপাতাল চলে সেটা কাছ থেকে না দেখলে কেউ বুঝবেন না।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর