বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রকল্প

শেকৃবি প্রতিনিধি

কাক্সিক্ষত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পুষ্টিকর খাবার ও গুণগত মান বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ খাবার গ্রহণ নিশ্চিতকরণে আমরা এখনো পিছিয়ে। খাদ্য নিরাপত্তার এ গুরুত্ববহ দিকটিকে সামনে রেখে সম্প্রতি দেশের দুই কৃষিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য নিরাপত্তাকে উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি জাতীয় ক্ষেত্রে এ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু হয়েছে ‘Enhancing food safety higher education in Bangladesh’ শীর্ষক প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রকল্প। নেদারল্যান্ডভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘নাফিক’ এর সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ও ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কাজ শুরু করেছে। গতকাল বেলা ২ টায় এক ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।শেকৃবি কৃষি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। শেকৃবি’র অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের এম্বাসেডর হেরি ভারওয়ে, শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, নাফিক’র মনিকা সোপভ ও ম্যারিয়েন ডর্ক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার নির্দেশকগুলো হল খাদ্যের বহুমুখীকরণ, পুষ্টিমানের যথাযথ উপস্থিতি, প্রোটিনের মান এবং নিরাপদ খাদ্য। ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সরকারের একার প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বেশ সময়সাপেক্ষ। তারা আরও বলেন, প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব। একই সঙ্গে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় প্রকল্পটি একটি নতুন ধারার সূচনা করবে।

প্রসঙ্গত, প্রকল্পটি মূলত দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করবে- ১. শ্রমবাজারের চাহিদা নির্ধারণ করে খাদ্য সুরক্ষায় দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) মাস্টার্স কোর্স চালু করা। ২. নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের জন্য বৃত্তিমূলক ও প্রশিক্ষণভিত্তিক শর্ট কোর্স চালু করা ও প্রকল্পটির আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান থাকবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর