বুধবার, ১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ব্যাংক ঋণ নিতে ভ্যাটের তথ্য লাগবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ঋণ নিতে ভ্যাটের তথ্য লাগবে না

ব্যাংক ঋণ নিতে ব্যবসায়ীদের যে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের তথ্য বাধ্যতামূলকভাবে দাখিল করার নির্দেশনা ছিল, তা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ মহামারীর সময়ে করদাতাদের ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনোরূপ যেন সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় এবং সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ ক্ষতিগ্রস্তরা সহজে পেতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে ঋণ গ্রহণকারীর ভ্যাট তথ্য বাধ্যতামূলক করার নির্দেশনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া পত্রে ওই নির্দেশনা বাতিলের তথ্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান। সংস্থাটি ১৮ জুন ঋণ প্রস্তাবের সঙ্গে ভ্যাট তথ্য দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির কৌশল হিসেবে করদাতাদের ভ্যাট দাখিলপত্রে প্রদর্শিত ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত তথ্যাদির সঠিক যাচাই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আর্থিক হিসাববিবরণী বা নিরীক্ষা প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু দেশে বিদ্যমান করোনা মহামারীর মধ্যে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আগে জারি করা ওই নির্দেশনা প্রতিপালন করতে গিয়ে করদাতারা যেন কোনোরূপ সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে জন্য নির্দেশনাটি বাতিল করা হলো। পাশাপাশি করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেটি যেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সহজে পেতে পারে তা নিশ্চিত করার বিষয়টিও আমরা বিবেচনায় নিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এনবিআরের নির্দেশনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে কোনো কোনো ব্যাংক ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে অনীহা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাচ্ছি। কিন্তু আমরা মনে করি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের স্বাভাবিক গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন জরুরি। তাই এ নির্দেশনার কারণে কেউ যেন ঋণ থেকে বঞ্চিত না হন, সে জন্য এটি বাতিল করা হলো। তবে অডিটের মাধ্যমে ব্যাংকে দাখিল করা তথ্যাদি যাচাইয়ে এনবিআরের যে চলমান কার্যক্রম, সেটি অব্যাহত থাকবে।’

প্রসঙ্গত, ১৮ জুন এনবিআর বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য যে নির্দেশনা জারি করে, এতে বলা হয়, গ্রাহক ঋণের আবেদন করলে অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সঙ্গে ‘অতিরিক্ত’ হিসেবে ভ্যাট রিটার্নের তথ্য যাচাই-বাছাই করতে হবে। অর্থাৎ ব্যাংক ঋণ অনুমোদনে ভ্যাটের তথ্য বাধ্যতামূলক করা হয়। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠান একাধিক অডিট রিপোর্ট করে। মূলত রাজস্ব ফাঁকি রোধে এনবিআর ভ্যাট তথ্য দাখিলের নির্দেশনাটি জারি করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর