বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা এবং এ বিষয়ে বাংলাদেশের জন্য  করণীয় নির্ধারণে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের পরামর্শ নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করে এ পরামর্শ নেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতি ও করোনা পরবর্তী সময়ের জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের সুপারিশ করেন সাবেক এসব কূটনীতিক। গতকাল ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল আলোচনায় ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের ওপর করোনা মহামারীর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাবও আলোচনায় উঠে আসে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার পরও যেন বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে কোটামুক্ত সুবিধা পেতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকগণ। সম্প্রতি বাংলাদেশের কোটামুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির প্রশংসা করেন তারা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ ও আঞ্চলিক সংস্থার ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো এবং দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদারকরণের উদ্যোগকে স্বাগত জানান আলোচকগণ। এ ছাড়া বক্তারা করোনার টিকা আবিষ্কৃত হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যাতে উন্নত বিশ্বের মতো একইভাবে উপকৃত হতে পারে সে বিষয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত কভিড-১৯ তহবিল গঠনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশংসা করা হয়। এ ছাড়া গ্লোবাল ভ্যাকসিনেসন সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক কূটনীতিকগণ।

পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমে সাবেক এসব কূটনীতিকদের সুপারিশসমূহ অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচিত হবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। এ সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে থাকায় দক্ষ ও অভিজ্ঞ সাবেক এ কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন। এ ধরনের  আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন। ইতিপূর্বে বিদেশের বাংলাদেশের মিশনসমূহে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।