রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান চূড়ান্ত প্রায়

শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপলক্ষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এক বছর ধরে এটির কাজ চলছে। বর্তমানে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মুজিববর্ষের বড় উপহার এ মাস্টার প্ল্যান। এটি তৈরি হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উন্নয়ন পরিকল্পিতভাবে করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকল্পও সে অনুযায়ী পরিচালিত হবে। অপরিকল্পিত কোনো কিছু আর করা হবে না। পরিকল্পিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পড়ে তোলা হবে। তিনি গতকাল বিকালে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন আয়োজনের অংশ হিসেবে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এ আলোচনার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

সভাপতির বক্তব্যে এ কে আজাদ বলেন, অতীতে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। এখন ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে কোনো কোনো ম্যাগাজিনের মতে ১০০-এর মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় আছে, কোনো কোনোটির মতে তাও নেই। শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের সেই গৌরব ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মান, কৃতিত্বের অংশীদার ছাত্র-শিক্ষক-অ্যালামনাই সবাই। তিনি উপাচার্যর দায়িত্ব পালনকালে এশিয়া উইকের র‌্যাংকিংয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বরে এসেছিল জানিয়ে বলেন, বর্তমানেও র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যেতে যা দরকার তা করতে হবে। শিক্ষকদের এক্সিলেন্স ও গবেষণার মান বাড়াতে হবে।

প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, গবেষণা ও প্রকাশনার মান বাড়িয়ে ঐতিহ্যের এ বিশ্ববিদ্যালয়কে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে হবে। দুঃখজনক হলেও সত্য, ১০০ বছরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে যেখানে পেতে চেয়েছিলাম, তা পাইনি।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রকিব উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি এ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে হতাশ নই। বঙ্গবন্ধু এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কৃতিত্ব ও অর্জন বিরল, অসামান্য।

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাবেক সচিব আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সচিব সোহেল আহমেদ, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, সহ-সভাপতি শাইখ সিরাজ, কার্যনির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা সেলিনা খালেক ও সদস্য সেলিমা খাতুন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ উদযাপন উপকমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর