নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে খ-কালীন সাব-রেজিস্ট্রার এস এম শফিউল বারীর বিরুদ্ধে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার এস এম শফিউল বারী আইন বহির্ভূতভাবে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে দলিলটি (নং-১৪,৭৫২ তাং-২৬-১২-২০১৯) রেজিস্ট্রি করেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে গত ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০ ইং এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে শফিউল বারী আইন বহির্ভূতভাবে পরদিন গত ১০ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংক আড়াইহাজার শাখায় দুটি পেঅর্ডার ও এনআরবি ব্যাংকে একটি পেঅর্ডারের মাধ্যমে আত্মসাতের ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৯৯০ টাকা জমা করেন। ওই অনিয়মের মধ্যেই ওই সাব-রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে অফিস সহকারী সুমিতা রানী ও রূপগঞ্জের ওমেদার জাকির হোসেনের প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে এলে এসএম শফিউল বারীসহ সুমিতা রানী ও জাকির হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু এরই মধ্যে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে বিতর্কিত ওই সাব-রেজিস্ট্রার ঊর্ধ্বতন মহলকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিয়মে ম্যানেজ করে গত ২৫ জুন ফের খ কালীন হিসেবে আড়াইহাজার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। স্থানীয় দলিল লেখকরা বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজ এই সাব-রেজিস্ট্রারের ফের যোগদানের পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। দলিল লেখকদের কয়েকজন জানান, সরকারের উচ্চমহল থেকে তদন্ত হলে আড়াইহাজারে সরকারি শত কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির গোমড় বের হয়ে আসবে। এসব বিষয়ে গতকাল আড়াইহাজার সাব-রেজিস্ট্রার শফিউল বারীর (০১৮৪১৮৮৪১৮৮) কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ, আমাকে প্রশ্ন না করলে ভালো হয়।