রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

চিকিৎসকদেরই আস্থা নেই করোনা চিকিৎসায়

ময়মনসিংহ

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

গত মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. চিত্তরঞ্জন দেবনাথ ও তার স্ত্রী ডা. মঞ্জু রানী দেবনাথের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। আক্রান্ত হওয়ার পর নিজ বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার চিত্তরঞ্জন দেবনাথের শ্বাসকষ্ট হলে তাকে করোনা কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যাওয়ায় ওই রাতেই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে  ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুধু এই অধ্যাপকই নয়, এর আগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এমদাদুল্লাহ খানও ময়মনসিংহ থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ঢাকা মেডিকেলে। ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিশু কনসালটেন্ট আরিফ রব্বানিও মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এসব চিকিৎসকই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর ‘উন্নত চিকিৎসা’ পেতে ঢাকায় চলে যাওয়া নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে কেন ময়মনসিংহে চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হলো না? আস্থায় সংকট তৈরি করে চিকিৎসকদের এভাবে ঢাকায় চিকিৎসা নেওয়া নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। খোদ চিকিৎসকরাই বলছেন, চিকিৎসকদের এভাবে ঢাকায় চলে যাওয়ায় ময়মনসিংহে গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়বে। আমাদের উপর আস্থা কমে যাবে।

হাসপাতালের একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক  জানান, করোনায় আক্রান্ত রোগীর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসা দেওয়ার সব সক্ষমতাই রয়েছে ময়মনসিংহ মেডিকেলে। ভ্যান্টিলেটর সুবিধাসহ ১০টি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বেড রয়েছে। রয়েছে দুটি হাইফ্লোনেজাল ক্যানোলা। যা দিয়ে এক মিনিটে ৭০-৮০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। এনেসথেসিয়ার সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী চিকিৎসকও আছেন ময়মনসিংহ মেডিকেলে। এন্টি ভাইরাল ওষুধ এবং প্রটসিলিজুমাব দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা বা পদ্ধতিরও প্রয়োজন নেই। রিব্রেডেবল মাস্ক রয়েছে অর্ধশতাধিক। এত সব সুবিধা থাকার পরও চিকিৎসা যদি ঢাকায় নিতে হয় তাহলে কতটুকু প্রস্তুত ময়মনসিংহের চিকিৎসা? সাধারণ মানুষের জন্য কতটুকু আন্তরিক সরকারি সেবাঙ্গন? এসব প্রশ্ন এখন মানুষের মুখে মুখে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর