অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও অধিকমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির বিরুদ্ধে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নগরীর পাহাড়তলী এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। এ সময় আম্মান বেকারি ও ইলিয়াস বেকারির কারখানায় বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি ও বেকারি পণ্য উৎপাদন করার হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে আম্মান বেকারিকে ৫ হাজার টাকা ও ইলিয়াস বেকারিকে ৩ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় বিক্রেতা এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও বিএসটিআই-এর অনুমোদন সাপেক্ষে খাদ্য উৎপাদনের জন্য নির্দেশ দেন। অন্যদিকে শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অপর এক অভিযান পরিচালিত হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী। অভিযানে দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং মূল্য তালিকায় প্রদর্শিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আদা, রসুন বিক্রি করায় মেসার্স রুবেল স্টোর ও মেসার্স ইলিয়াস স্টোরকে ৫ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা অর্থদ করা হয়। এ সময় করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাজারে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন হওয়ার বিষয়ে বলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
