রবিবার, ৫ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

বেকারত্ব ঘোচাতে শিক্ষা খাতে সংস্কার চায় ডিসিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুঁজির স্বল্পতা ও বাজার সংকোচনের কারণে রপ্তানিমুখী শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ বা এসএমই এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বেকারত্ব সৃষ্টি হওয়ার তথ্য দিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই। দেশের প্রাচীন এই বাণিজ্য সংগঠনটি বলেছে- দেশে মোট কর্মসংস্থানের ২০ শতাংশ আসে শিল্প খাতে। কিন্তু পর্যাপ্ত শ্রমশক্তি থাকা সত্ত্বেও দক্ষ শ্রমিকের যথেষ্ট অভাব দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে করোনা সংকট উত্তরণ ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি এবং বেকারত্ব ঘোচাতে দ্রুত শিক্ষা খাতে সংস্কার চায় ডিসিসিআই।

গতকাল ডিসিসিআই আয়োজিত ‘কভিড-১৯ পরবর্তী বাংলাদেশের শিল্প খাতের প্রস্তুতি : বিনিয়োগ ও দক্ষতা’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম। বক্তব্য দেন ডিসিসিআই সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শহীদুল আলম, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম-সচিব) এম এ রাজ্জাক, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. প্রকৌশলী মো. শাখাওয়াত আলী, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিজনেস ইন্টিলিজেন্স লিমিটেডের উদ্যোক্তা শাকিব কোরেশি। আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ-ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-বিপিসিসিআই সভাপতি প্রকৌশলী আকবর হাকিম, ডিসিসিআইর সাবেক ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি আবদুস সালাম, হুমায়ুন রশিদ, সাবেক সহসভাপতি খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক পরিচালক খাইরুল মজিদ মাহমুদ, মো. শরফুদ্দিন, দাতা মাগফুর প্রমুখ।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তমন্ত্রণালয় সমন্বয় বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি খাত ও বিশেষকরে বিশ^বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় আরও বাড়ানো প্রয়োজন। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী আছে। কিন্তু শিল্প খাত তাদের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারছে না। এক্ষেত্রে বিদেশ ফেরত শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের প্রস্তাব দেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, করোনায় সারা বিশে^ই অর্থনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। বৈশি^ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ২ শতাংশ কমবে। সদ্য বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় মোট রপ্তানি ১৮ শতাংশ কমেছে।

তিনি বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর সংকট উত্তরণ ও দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে শিল্প খাতের চাহিদামাফিক শিক্ষাব্যবস্থার যুগোপযোগীকরণ প্রয়োজন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা কাজে লাগানো, বিদেশি বিনিয়োগ স্থানান্তরের সুবিধা কাজে লাগাতে স্থানীয় অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন দরকার। পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে প্রয়েজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালুকরণ, প্রবাস থেকে ফেরত আসা কর্মী এবং স্থানীয় শিল্প খাত থেকে কর্ম হারানো শ্রমিকদের শিল্প খাতে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সহযোগিতা প্রদান এবং প্রণোদনা প্যাকেজ হতে এসএমই উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ প্রদান নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর