রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায়। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে বগুড়ার চেয়েও বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হচ্ছেন রাজশাহীতে। উত্তরের এ জেলা এখন সংক্রমণে বিভাগে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। রাজশাহীতে যেভাবে প্রতিদিন নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছেন তাতে উদ্বিগ্ন সবাই। গতকাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য জানান, বিভাগে এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৮৫১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৩০৭ জনই বগুড়ায়। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৫ জন শনাক্ত হয়েছেন রাজশাহীতে। গত কয়েকদিনের পরিসংখ্যান বলছে, বগুড়ার চেয়েও এখন রাজশাহীতে বাড়ছে কভিড-১৯ রোগী। শনিবার রাজশাহীতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৯৬ জন। এদিন বগুড়ায় শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। আগের দিন শুক্রবার রাজশাহীতে শনাক্ত হয়েছিলেন ৭৯ জন। আর বগুড়ায় শনাক্ত হন ৪৭ জন। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ১২৫ এবং বগুড়ায় ১৪৭ জন শনাক্ত হন। বুধবার রাজশাহীতে ১০৬ এবং বগুড়ায় ৭৩ জন শনাক্ত হন। তার আগের দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে ৬৯ এবং বগুড়ায় ৬১ জন শনাক্ত হন। রাজশাহীর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী, রাজশাহীর ১ হাজার ৮৫ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৭৯৯ জনই শনাক্ত হয়েছেন মহানগরীতে। এর বাইরে জেলার বাঘা উপজেলায় ২৩, চারঘাটে ৩১, পুঠিয়ায় ১৪, দুর্গাপুরে ১৬, বাগমারায় ৩২, মোহনপুরে ৪৩, তানোরে ৪৩, পবায় ৭৪ এবং গোদাগাড়ীতে ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৫৬ জন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতরের হিসাবে শনিবার পর্যন্ত বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০১ জন, নওগাঁয় ৫৫৯ জন, নাটোরে ২৪৪ জন, জয়পুরহাটে ৪৫৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৬২৭ জন এবং পাবনায় ৪৭৪ জন শনাক্ত হয়েছেন। বিভাগে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৯৫ জন। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৬১ জন মারা গেছেন বগুড়ায়।
এছাড়া নওগাঁয় ৭, নাটোরে ১ এবং সিরাজগঞ্জ ও পাবনায় ৮ জন করে মারা গেছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাটে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি করোনায়। বিভাগের আট জেলায় এ পর্যন্ত করোনা জয় করেছেন ১ হাজার ৯৪০ জন।এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬১, নওগাঁয় ৩৪৩, নাটোরে ৭৬, জয়পুরহাটে ১৫১, বগুড়ায় ৯৩৭, সিরাজগঞ্জে ৬৭ এবং পাবনায় ১৪৯ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। গোটা বিভাগে এখনো হাসপাতালে আছেন ৬০৮ জন।