সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

এটি এক সফলতার গল্প বিশ্বের জানা উচিত

‘লেটস টক : রোহিঙ্গা রেসপন্স অ্যান্ড কভিড-১৯’

জনবহুল রোহিঙ্গা শিবিরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ না হওয়া আন্তর্জাতিক শরিকদের সঙ্গে সরকারের প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং যৌথ প্রয়াসের ফল উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এটি প্রশংসনীয় কার্যক্রম। এ গল্প বিশ্বকে জানানো উচিত। গতকাল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে ‘রোহিঙ্গা রেসপন্স অ্যান্ড কভিড-১৯’ বিষয়ে ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গার মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে এ পর্যন্ত মাত্র পাঁচজন মারা গেছেন। সৌভিক দাস তমালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশ নেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশের প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক সুমাইয়া তাসনিম এবং রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের স্বেচ্ছাসেবক জানি আলম। আলোচনায় রোহিঙ্গা শিবিরে বাইরে থেকে লোক প্রবেশ এবং শিবির থেকে বাইরে যাওয়ার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ও সহযোগীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বাংলাদেশের প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস। আলোচনায় স্টিভেন বলেন, ধীরে ধীরে স্থানীয়দের (রোহিঙ্গা শিবিরের কাছে থাকা) জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা কক্সবাজারে ভালো পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পেরেছি। এটি এক সফলতার গল্প। বিশ্বের জানা উচিত।’

মাহবুব আলম জানান, রোহিঙ্গা শিবিরের কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : আলোচনায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব জানান, করোনাভাইরাসের কারণে প্রত্যাবাসন নেওয়া উদ্যোগগুলো কিছুটা কমেছে। রাখাইন রাজ্যে আরও একবার নির্মূল কার্যক্রম ও সহিংসতা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি করেছে বলে জানান তিনি। লাইভে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বলেন, সরকারের মূল লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের রাখাইনে নিজ জন্মস্থান নিরাপদে প্রত্যাবাসন করা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর