সোমবার, ৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ফুলে ফুলে সেজেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

আসাদুজ্জামান সুমন, ভালুকা

ফুলে ফুলে সেজেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক

বর্ষার বহুমাত্রিক ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে লাল-নীল, গোলাপি-হলুদ, বেগুনি-সাদাসহ বিভিন্ন রঙে নিজেকে রাঙিয়ে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক। কামিনী, বেলী, গন্ধরাজের মাতাল করা গন্ধ ও নান্দনিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ করছে সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী মানুষদের। ছড়াচ্ছে অন্যরকম এক ভালোবাসার ছোঁয়া। সরকারের মেগাপ্রকল্প হিসেবে প্রথম দফার মেয়াদে ময়মনসিংহ-জয়দেবপুর ৮৭.১৮ কিমি. দীর্ঘ চার লেন মহাসড়কের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছিল এক হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। চারটি প্যাকেজে এ প্রকল্পটি সর্বশেষ তত্ত্বাবধান   করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭ ইসিবি। নির্মাণকাজ শেষে ২০১৬ সালের ২ জুলাই রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে সুইচ টিপে আনুষ্ঠানিক যান চলাচলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উত্তরবঙ্গের একাংশের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীত করা। মহাসড়কটি দৃষ্টিনন্দন ও তাতে দুর্ঘটনা রুখতে সড়ক বিভাজকের ওপর রোপণ করা হয়েছিল ৩০ প্রজাতির লক্ষাধিক গাছ। এদের মধ্যে রয়েছে- কৃষ্ণচূড়া, রাধাচুড়া, কামিনী, বেলী, গন্ধরাজ, কনকচাঁপা, রক্তকরবি, স্বদেশি নিম, চেরি, নীলকাঞ্চন, লালকাঞ্চন, জোগাটগর, অগ্নিস্বর, পলাশ, গৌরিচূড়া, ছাতিম, জারুলসহ প্রায় ৩০ প্রজাতির গাছ।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভ্যুদয়ের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েত হোসেন রিপেল বলেন, ‘ফুলের সৌরভ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও স্থানীয়দের মুগ্ধ করে। কিন্তু পরিচর্যার অভাবে বেশ কিছু গাছ মরে গেছে। ফলে মাঝে মাঝে কিছু জায়গা ফাঁকা হয়ে গেছে। তাই এসব দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া দরকার।’     

জামালপুরগামী ট্রাকের ড্রাইভার সুলাইমান হক বলেন, ‘এ সড়কটিতে গাড়ি চালিয়ে অন্যরকম এক প্রশান্তি পাই। বিভিন্ন রঙের দৃষ্টিনন্দন ফুলের সমারোহ ও গন্ধে গাড়ি চালানর সময় এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করে।’

ময়মনসিংহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জান জানান, ‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীদের ভ্রমণ আনন্দময় করার লক্ষ্যে ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে গাছগুলো রোপণ করা হয়েছে। সড়ক বিভাজকের ওপর রোপণ করা গাছগুলো বছরজুড়েই সৌন্দর্য বা সুগন্ধ ছড়ালেও বর্ষাকালে ভিন্ন এক আবহ তৈরি করে। বৃক্ষগুলোকে বছরজুড়েই আমরা পরিচর্যা করে থাকি। ময়মনসিংহ অংশে এ বর্ষায় সড়কের ফাঁকা জায়গাগুলোয় আরও দুই হাজার রঙ্গন ও চায়না টগরের চারা লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর