শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৭ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা ছাপিয়ে চট্টগ্রামে আলোচনায় সিটি নির্বাচন

বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে ৫ আগস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন। এদিকে আগামী ৫ আগস্ট শেষ হবে বর্তমান নির্বাচিত পঞ্চম পরিষদের মেয়াদ। ফলে চসিক নির্বাচন হবে নাকি প্রশাসক বসবে, কে নেবেন পরবর্তী দায়িত্ব- এসব নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। মহামারী করোনার প্রকোপকে ছাপিয়ে চসিক নির্বাচন এখন আলোচনার তুঙ্গে। সর্বত্র মুখর চসিক নির্বাচনী অনুষঙ্গ। তবে নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।  জানা যায়, গত ২৯ মার্চ চসিক নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় ২১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। স্থগিত হওয়া নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন, ৪১টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৬১ এবং ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ৪৬ জন। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন নির্বাচিত হন। পরে ৬ আগস্ট মেয়রের নেতৃত্বাধীন পঞ্চম পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত বর্তমান পরিষদের মেয়াদ আছে। ফলে ওই দিন পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। এরপরই নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করবে কমিশন। সিদ্ধান্তের জন্য আরও এক মাস অপেক্ষা করতে হবে।’

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের এই সময়ে নির্বাচন করা কতটা সমীচীন হবে তা চিন্তা করা দরকার। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজনের মতো পরিবেশ নেই।’

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে করোনাভাইরাসে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৮০ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭ হাজার ৫৭ জন ও উপজেলায় ৩ হাজার ১২৩ জন। এ ছাড়া মারা গেছেন ১৯৫ জন। যার মধ্যে মহানগরে ১৩৮ ও উপজেলায় ৫৭ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ২১৬ জন।

চসিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন থেকে সিটি করপোরেশনে উন্নীত করে তৎকালীন প্রশাসক মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন প্রয়াত মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি টানা তিনবার মেয়র হিসেবে জয়ী হন। ২০১০ সালের নির্বাচনে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বিএনপি প্রার্থী এম মনজুর আলমের কাছে পরাজিত হন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র নির্বাচিত হন।

প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ বছর হবে। তবে শর্ত থাকে, সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত মেয়রের নেতৃত্বে পরিষদ দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবে। এতে নির্বাচন করার সাংবিধানিক কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সরকার চাইলে প্রশাসকও নিয়োগ দিতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর