বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে করোনার নমুনা পরীক্ষায় ‘অনীহা’

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় এখন আর ভিড় দেখা যাচ্ছে না। উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাসায় থেকেই করোনা জয় করার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে ভিড় কমছে নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রে, রোগী কমছে হাসপাতালে। তবে প্রতিদিনই গড়ে ২৫০ জনের মতো করে আক্রান্ত হচ্ছে।  ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নমুনা দেওয়ার ১০ থেকে ১৫ দিন পরও রিপোর্ট না আসা, নমুনা কেন্দ্র থেকে সংক্রমণের শঙ্কা ও নমুনা প্রদানে ভোগান্তির কারণে অনেকেই এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নগরের চকবাজারের বাসিন্দা রবিউল আলম বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই নমুনা দেওয়ার ১৫ দিন পরও রিপোর্ট আসেনি। তবে উপসর্গ দেখার পর চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। সে অভিজ্ঞতায় আমি নমুনা পরীক্ষা না করে উপসর্গ দেখা  দেওয়ার পর ওষুধ খাওয়া শুরু করি। আমিও সুস্থ।’  চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত হন ১০ হাজার ৪৪৭ জন। এর মধ্যে মহানগরে ৭ হাজার ২৮৬ জন ও উপজেলায় ৩ হাজার ১৯১ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১৯৮ জন। এর মধ্যে মহানগরে ১৪০ জন ও উপজেলায় ৫৮ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ২৬৫ জন। নতুনভাবে করোনাজয় করেছেন ৪৯ জন। সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কমছে না। সবাই এখন করোনার উপসর্গ বিষয়ে অনেক সতর্ক ও সচেতন হয়েছেন। ফলে উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাচ্ছেন। এ কারণে কেউ কেউ এখন আর পরীক্ষা করাচ্ছেন না।

জানা যায়, বর্তমানে চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি ছয়টি ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা চলছে। সরকারি নমুনা কেন্দ্রগুলো হলো- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাব, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে। বেসরকারি দুটি হলো- ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও সেভরনের ল্যাবেও নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবেও চট্টগ্রামের দুই উপজেলার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর