শিরোনাম
বুধবার, ৮ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

ঠুনকো অজুহাতে প্রবেশ ও বের হওয়ার চেষ্টা

কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে সহযোগিতা চাইলেন মেয়র তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুরান ঢাকার ওয়ারীতে লকডাউনের মধ্যেও ঠুনকো অজুহাতে প্রবেশ ও বের হওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের কেউ কেউ নানা কারণ দেখিয়ে বের হচ্ছেন। আবার অনেকেই রেড জোনে ঢুকতে চেয়ে বাকবিতন্ডায় জড়াচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে। এদিকে চতুর্থ দিন গতকালও প্রবেশমুখ নিয়ে কাটেনি ধোঁয়াশা। এলাকাবাসীর কাছে এখনো স্পষ্ট নয়, প্রবেশ-বের হওয়ার নির্দিষ্ট পথ কোন দিকে। তবে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল ওয়ারীতে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বাসিন্দারা। কোনো কিছুতেই তাদের থামানো যাচ্ছে না। কেউ বলছেন কর্মস্থল, কেউবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা। বাঁশের ব্যারিকেড ডিঙিয়ে চলে মালামাল পরিবহনের কাজও। এর মধ্যে লকডাউনে থাকা এক বাসিন্দা পাউরুটি কিনতে বের হন। স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় দোকান থেকে তাকে তা এনে দেন। কিন্তু তিনি তা নেবেন না। পাউরুটি কিনতে তিনি নিজেই যেতে চান ঠাঁটারীবাজারে। এমন আরও শত বাহানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেখানকার স্বেচ্ছাসেবকদের। এক স্বেচ্ছাসেবকের ভাষায়, ‘যেটা প্রয়োজন না সেটাও চাইছেন। সোমবার রাতে একজন চেয়েছেন ৫ টাকার ধনেপাতা। এর জন্যও ফোন দিয়েছেন। পরে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা তা দিয়ে এসেছেন।’ প্রথম দিন প্রবেশ-বের হওয়ার জন্য দুটি পথ নির্দিষ্ট করা ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে জয়কালী মন্দির সড়ক-সংলগ্ন গেট দিয়ে বের হওয়া এবং টিপু সুলতান রোড দিয়ে প্রবেশের পথ নির্ধারণ করা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন পুলিশ ও  স্বেচ্ছাসেবকরা। স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, একটি রাস্তা প্রবেশের, অন্যটি বের হওয়ার। আবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, দুটো রাস্তা দিয়েই প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে।

এদিকে নগর ভবনে এক সভায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। গতকাল বিকালে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত লকডাউন-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় মেয়র বলেন, ‘আমরা আরও একটু কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করতে চাইছি। আমরা বুঝি এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হচ্ছে। তাদের জীবিকা নির্বাহসহ ব্যবসা-বাণিজ্য ও চলাফেরার অনেক অসুবিধা হচ্ছে। আমি অনুরোধ করব, আপনারা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে লকডাউন পালন করবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর