দেশের ৯৭ ভাগ মানুষ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিগ ডাটা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার, স্ক্যাডা বিদ্যুৎ ব্যবহারের গতিধারা বা প্যাটার্ন নির্ণয় করতে সহায়তা করবে। বিতরণ কোম্পানিগুলোকে ডাটা সংগ্রহ ও প্রয়োগের বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে গতকাল অনলাইনে ‘বিগ ডাটা এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নসরুল হামিদ বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহারশৈলী বিশ্লেষণ করে এলাকা, লোকজন বা গ্রাহক সম্পর্কে সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
এর ব্যবসায়িক গুরুত্ব অপরিসীম। ডিপিডিসির প্রি-পেমেন্ট ডাটা ও স্যাটেলাইট ডাটা বিশ্লেষণকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিগ ডাটা বিশ্লেষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের অন্যতম আধুনিক কৌশল।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মইনুল যাবের। প্রবন্ধের মূল নিবন্ধন ছিল অপ্রথাগত ডাটা ব্যবহার করে টেলিফোনযোগে ও আইসিটি মাধ্যমে জ্বালানি ও টেকসই শহর নির্মাণ এবং মানব গতিশীলতা ও আর্থসামাজিক মডেলিং তৈরি করা। এখানে তিনি গ্রাহকদের প্রাক-অর্থ প্রদানের আচরণ নিয়েও বিশ্লেষণ করেন।বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান সুবীর কিশোর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল এই সেমিনারে অন্যদের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
