উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম পশুর হাট সিটি হাট। কোরবানির ঈদের আগে হাটটিতে পা ফেলার জায়গা থাকে না। রবিবার আর বুধবারের সাপ্তাহিক হাট ঈদ মৌসুমে প্রতিদিন বসাতে বাধ্য হন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে রাজশাহীতে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু করেছেন খামার মালিকরা। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে গরু বেচাকেনা করতে পারলে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা পাবে খামার মালিকরা এমনটাই বলছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা। তবে ন্যায্য দামে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন কিনা এনিয়ে চিন্তিত খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলে ব্যক্তি উদ্যোগে অনলাইনের মাধ্যমে পশু বেচাকেনার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন খামারিরা। কয়েকজন খামারি বলছেন, তারা হাটে তোলার চেয়ে এখন অনলাইনের মাধ্যমেই কোরবানির পশুর কেনাবেচা করছেন। খামারি আরাফাত রুবেল জানান, ইতিমধ্যে চট্টগ্রামে তার দুইটি গরু অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করেছেন। ঢাকার এক কাস্টমারের সঙ্গেও কথা হচ্ছে তার। অনলাইনে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান তিনি। আরেক খামারি ইয়াকুব আলী বলেন, হাটে গেলে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করলে হাটে নিয়ে যাওয়ার ঝক্কি পোহাতে হয় না। অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বেচাকেনা হলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যাবে, তেমনি খামার মালিকরা নায্যমূল্য পাবে এমনটাই বলছেন রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রুহুল আমিন আল ফারুক।
তিনি জানান, খামারিরা অনেকেই ইতিমধ্যে অনলাইনের মাধ্যমে কোরবানির পশু বিক্রি করতে শুরু করেছেন। তবে যারা হাটে গরু তুলবেন তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে গরু তুলতে হবে।
