বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

নিয়মিত আদালত চালুসহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাত সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে নিয়মিত আদালত চালুর দাবি করে করোনা সময়ের জন্য সাত দফা সুপারিশ করে তুলে ধরেছে  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ তুলে ধরেন সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। এ সময় সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিনসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, বিগত ১২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নিয়মিত ছুটি এবং ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী সরকার-ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে দেশের সর্বোচ্চ আদালতসহ সারা দেশের আদালতে নিয়মিত বিচারকাজ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন নিয়মিত কোর্ট বন্ধ থাকায় সাধারণ আইনজীবীরা আদালত খোলার দাবি করছেন।

এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে নিয়মিত আদালত চালুর ব্যাপারে সাত দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, যা সুপারিশ আকারে পেশ করা হবে। এসব সুপারিশ সুবিবেচনায় নিয়ে অনতিবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশের আদালতসমূহ নিয়মিতভাবে চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানানো হয় লিখিত বক্তব্যে।সুপারিশগুলো হচ্ছে- এক. ভার্চুয়াল আদালত নিয়মিত আদালতের বিকল্প হতে পারে না। সুতরাং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে অনতিবিলম্বে নিয়মিত আদালত চালুর পক্ষে কার্যনির্বাহী কমিটি অভিমত প্রকাশ করেছে। দুই. যেহেতু করোনার ভয়াবহতার কারণে ইতিমধ্যে আদালতের মূল্যবান সময় অপ্রত্যাশিতভাবে নষ্ট হয়েছে, তাই এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২০ সালের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টে বার্ষিক ছুটি এবং সব আদালতের ডিসেম্বরের ছুটি বাতিল করতে হবে এবং পরবর্তী ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনতে হবে। তিন. নিয়মিত আদালত চালুর আগে বিচারক, আইনজীবী, বিচারপ্রার্থী জনগণ এবং আদালতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। চার. করোনাকালে আদালত প্রাঙ্গণে বিচারক, আইনজীবী, ও বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। সব পক্ষকে এই সুরক্ষা নীতিমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। পাঁচ. সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্যদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সমিতির টয়লেট, পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ছয়. যত দিন পর্যন্ত নিয়মিত আদালত চালু করা সম্ভব হচ্ছে না, তত দিন সব আইনজীবী যেন পেশা পরিচালনার সুযোগ পান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান ভার্চুয়াল কোর্টের সংখ্যা, পরিধি ও বিচারিক সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে। বর্তমানে চলমান ভার্চুয়াল আদালতে মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইনজীবীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। নিম্ন আদালত থেকে মামলার নথি ও আদেশের সার্টিফায়েড কপি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে মামলা দায়েরে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলো দূরীকরণে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাত. বিচারপ্রার্থী মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য ভার্চুয়াল আদালতেও আগাম জামিন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর