শনিবার, ১১ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে নীরব প্রশাসন

হাই কোর্টের আদেশ উপেক্ষিত

বাইজিদ ইমন, চবি

৮২ শিক্ষার্থীর ভর্তি নিয়ে নীরব প্রশাসন

সব নিয়ম মেনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য উত্তীর্ণ হন তারা। কিন্তু ভর্তি কার্যক্রমের অসংগতির কারণে পরীক্ষার ফল দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায় তারা ভর্তি হতে পারবেন না। এ নিয়ে হতাশা শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ, বি, সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের পর অসংগতি বুঝতে পেরে ডি ইউনিটের পরীক্ষার ফল আটকে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করেন মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ৮২ জন মানোন্নয়নকৃত শিক্ষার্থী। ৯ ফেব্রুয়ারি আদালত শিক্ষার্থীদের করা পৃথক চারটি রিটের রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছে। পাশাপাশি ডি ইউনিটে মানোন্নয়ন দেওয়া ভর্তি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ না করায় রিট আবেদনকারীর ফল প্রকাশ ও সে অনুযায়ী ভর্তির বিষয়টি বিবেচনা করতে বলে। অন্যথায় রিটকারীকে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। শুনানি শেষে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। রায়ের ১৫০ দিন পরও তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ফলাফল প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবজ্ঞামূলক কার্যক্রমের কারণে হতাশ হয়ে আছেন রিটকারী শিক্ষার্থীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর জন্য দায়ী করেছেন চলমান লকডাউনকে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় সচল ছিল এক মাস আট দিন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মনোয়ার আলী বলেন, ‘যত দূর জানি এ রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আপিল করার কথা রয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে সম্ভবত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে। আপিলে নিষ্পত্তি না হলে ওদের ভর্তি নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।’ এ ইউনিটে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘চবিতে চান্স পাওয়ার পর অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পরীক্ষা দিইনি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন জানানো হয় ভর্তি নেওয়া হবে না তখন হতাশ হয়ে পড়ি। আমরা আন্দোলন করেও কোনো ফল না পেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করি। এ মামলা চালাতে গিয়ে অর্থ, সময় সবই ব্যয় হয়।

 অবস্থা এমন যে, এ বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আর ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের আশাও নেই।’ এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীন আখতার জানান, করোনার কারণে এ বিষয়ে কোনো আহামরি ফল আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয় সচল হলে বিষয়টির সমাধান করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর