রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনার রেড জোনে কমেছে সংক্রমণ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনার রেড জোনে কমেছে সংক্রমণ

করোনা প্রতিরোধে খুলনার রেড জোন এলাকায় কড়াকড়ি লকডাউনে সাফল্য মিলিছে। এরই মধ্যে রেড জোন ঘোষিত নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সংক্রমণ অনেকাংশে কমেছে। ২৫ জুন মধ্যরাত থেকে একুশ দিনের জন্য এসব এলাকায় লকডাউন শুরু হয়। রেড জোন ঘোষণার আগে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩৩ জন। গত দুই সপ্তাহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন আটজন। একইভাবে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৬৫ জন। গত দুই সপ্তাহে এখানে মাত্র একজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জনের দফতর থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, খুলনা মহানগরীকে কয়েক দফা অঘোষিত লকডাউনের আওতায় এনেও সংক্রমণ কমানো যায়নি। বরং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই দোকানপাট খোলা, পাড়া-মহল্লায় আড্ডা, যানবাহন চলাচল ছিল স্বাভাবিক সময়ের মতোই। এ কারণে পুরো শহরের বদলে দুটি ওয়ার্ডকে রেডজোন ঘোষণা করে ডকডাউনের আওতায় আনা হয়।  জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, নগরীর ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। রেড জোন ঘোষণার আগে প্রতিদিন এখানে ১০ থেকে ৩০ জনের মতো করোনা শনাক্ত হতো। কিন্তু লকডাউনের কারণে মানুষের চলাচল কমে যাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা এবং দোকানপাট বন্ধ রাখার কারণে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

জানা যায়, রেডজোন বাস্তবায়ন করতে ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব স্থানে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টা পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, মানুষ সচেতন হলে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। গতকাল তিনি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় বলেন, লকডাউন এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় ও নির্দেশনা মেনে চলতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত খুলনায় স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এক হাজার ৫১২ জনকে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর