রবিবার, ১২ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা
ডিসিসিআইর অভিযোগ

প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা বা এমএসএমই খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার তথ্য দিয়েছে দেশের প্রাচীন বাণিজ্য সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-ডিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, ব্যাংক থেকে এমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীরা প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ সুবিধা পাচ্ছে না। এ অবস্থা উত্তরণে স্বল্প সুদে ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ও রিফাইন্যান্সিং স্কিম আরও বেশি হারে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জাতীয় বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি-জিডিপির ৪ থেকে ৫ শতাংশ বরাদ্দ রাখা উচিত। গতকাল ডিসিসিআই আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক অনলাইন আলোচনায় মূল প্রবন্ধে উপস্থাপন করে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি শামস মাহমুদ।

 প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি।

বক্তব্য দেন আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসেন খালেদ, বিল্ড চেয়ারম্যান আবুল কাসেম খান, চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, বেসরকারি সংস্থা পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, ডিসিসিআইর সাবেক সভাপতি রাশেদ মাকসুদ খান, এম এইচ রহমান, আফতাব-উল ইসলাম, বেনজীর আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মো. সবুর খান প্রমুখ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, কিছু অসাধু ব্যক্তির অসৎ কাজে দেশ-বিদেশে আমাদের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। সরকারি সব খাতে কমপ্লায়েন্স হতে হবে। গুড গভার্নেন্স নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট আইনের আরও সংস্কার জরুরি। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে আরও ডিজিটাইলাইজেশন এখন সময়ের দাবি। প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণের ব্যাংক হিসাব না থাকায় সরকার করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নগদ আর্থিক সহায়তা সবার কাছে পৌঁছাতে পারেনি বলেও স্বীকার করেন মন্ত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর