ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কয়েকটি পত্রিকায় ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশিরা ভাইরাস বোমা।’ কিন্তু তিনি এ ধরনের বক্তব্য দেননি।

সম্প্রতি স্পেন সফরকালে স্পেনের টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইতালির প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ থেকে একটি বিমান ইতালির রোম বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনা টেস্টে ২০ শতাংশ যাত্রীর করোনা পজিটিভ আসে। ইতালিতে করোনা যেন আবার কঠিন ভয়াবহ অবস্থায় না পৌঁছায় সেজন্য বাংলাদেশের বিমান বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর ১২টি দেশের বিমান সে দেশে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশ পুরোপুরি করোনামুক্ত না হওয়ার পরও বাংলাদেশিদের ইতালির রেসিডেন্স পারমিট দিয়ে সে দেশের সরকার অত্যন্ত উদারতার পরিচয় দিয়েছে। গত এক মাসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস প্রায় ১ হাজার ৬০০ যাত্রী নিয়ে ইতালিতে ছয়টি বিশেষ চাটার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। ইতালিগামী বাংলাদেশি যাত্রীর অধিকাংশ ইতালির রেসিডেন্স পারমিটধারী এবং কিছু যাত্রী ইতালির পাসপোর্টধারী। বাংলাদেশিদের ইতালির রেসিডেন্স পারমিট-প্রাপ্তি ও সে দেশে গমনের ক্ষেত্রে ঢাকাস্থ ইতালির দূতাবাসের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কিন্তু রোম বিমানবন্দরে গমনের পর সেখানে পরীক্ষায় ৭০-৭৫ জন বাংলাদেশির করোনা পজিটিভ আসে, যা      অত্যন্ত দুঃখজনক।

ইতালির সংবাদপত্রে ইতালিপ্রবাসী বাংলাদেশিদের করোনাবিষয়ক অবাধ্য আচরণ স্থান পেয়েছে। ফলে ইতালির নাগরিকদের সে দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের প্রতি অবিশ্বাস ও অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। সে দেশের একটি পত্রিকায় ‘বাংলাদেশি ভাইরাস বোমা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

কিন্তু ইতালির প্রধানমন্ত্রী স্পেনের টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি ‘ভাইরাস বোমা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ওপর প্রভাব পড়ে সে রকম কোনো ধরনের সংবাদ পরিবেশন না করার জন্য বাংলাদেশি গণমাধ্যমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনে সংবাদের সঠিকতা যাচাই করা উচিত।