সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

খুলনায় সংকট বাড়ছে করোনা চিকিৎসায়

পরিকল্পনা এখনো আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ

সামছুজ্জামান শাহীন, খুলনা

খুলনায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় নানামুখী সংকট বাড়ছে। নামে ডেডিকেটেড হাসপাতাল হলেও এখানে নেই হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা বা লিক্যুইড অক্সিজেন প্লান্ট। স্থান সংকুলানের অভাবে ১০০ শয্যার হাসপাতালে ঠাঁই মেলে না মুমূর্ষু রোগীরও। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধির পরিকল্পনা এখনো আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ। এ ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজে একমাত্র পিসিআর মেশিনের সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়েও প্রতিদিনের সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হয় না। এতে করোনা চিকিৎসায় ভোগান্তি বাড়ছে। জানা যায়, খুলনায় প্রতিদিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৯৩৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৪ জন। ডেডিকেটেড হাসপাতালের সমন্বয়কারী ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হাসপাতালে ১০টি আইসিইউ বেডের সব ক’টিতে মুমূর্ষু রোগী ভর্তি রয়েছে। এ অবস্থায় নতুন কোনো মুমূর্ষু রোগীকে ভর্তির সুযোগ নেই। অধিকাংশ সাধারণ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে। তিনি বলেন, বেড বাড়ানোর জন্য বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিকে খুলনার বেসরকারি চারটি হাসপাতালকে রোগী ভর্তির ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও তারা অনীহা জানিয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত             

আহমেদ বলেন, জনবল সংকট, অবকাঠামো সমস্যা, চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনাসহ নানা অজুহাতে তারা চিকিৎসা দিতে আপত্তি জানাচ্ছে। এদিকে গত ১১ জুলাই করোনাভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক জেলা কমিটি সভায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন বলেন, আমদানি-সাপেক্ষে খুলনায় নমুনা পরীক্ষায় দ্রুত আরেকটি পিসিআর মেশিন ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হবে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মুন্সি মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, ডেডিকেটেড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা সীমিত। এ অবস্থায় সদর হাসপাতালে আলাদা ইউনিট চালু হলে শুধু জরুরি রোগীদের ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর