সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

৭ দিনে আক্রান্ত ৫১

ওয়ারীতে লকডাউন করেও কমছে না সংক্রমণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণরোধে ওয়ারী লকডাউন করা হয়েছে। তারপরও কমছে না আক্রান্তের সংখ্যা। গত সাত দিনে সেখানে ৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওয়ারীর কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, লকডাউন শুরুর দিন ৪ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত নমুনা দিয়েছেন ১২০ জন। এর মধ্যে ৫১ জনের রিপোর্ট পজিটিভ। এ বিষয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো বলেন, সরকার জেনে-বুঝেই লকডাউন দিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সঠিক। হয়তো কিছু এলাকাবাসী মনোক্ষুণœ হয়েছেন। তারপরও এলাকাবাসী সুস্থ ও নিরাপদে থাকুক, এটাই চাওয়া। জানা গেছে, ওয়ারী থেকে মানুষের বের হওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে ওই এলাকায় বসবাসরত ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীরা। তারা নানা উপায়ে বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন। কখনো সহযোগিতা নিচ্ছেন এলাকার বড় ভাইদের। কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। তবে ওয়ারী থেকে বের হওয়ার একমাত্র পথ হট কেক গলিতে কঠোর অবস্থানে স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ। গতকাল ওই গেট দিয়ে বেশির ভাগই ডাক্তার ও রোগী বের হয়েছেন। ব্যবসায়ী ও ব্যাংকার বের হওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পুলিশ তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠায়। আর বারবারই মাইকে ঘোষণা করা হচ্ছে, কেউ যেন আউট গেটে ভিড় না করেন। এলাকার কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, টাকা দিয়ে অনেকে বাইরে আসা-যাওয়া করছে। বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, আপনি বলেন একটা ব্যাংক আপনাকে টানা ২৫ দিন ছুটি দেবে? আমার শাখায় মোট ৫৩ জন কর্মী। তার মধ্যে ২০ জন নেই। প্রতিদিনই ব্যাংক থেকে তাড়া দেয় যাওয়ার জন্য। কোনো দিন বের হতে পারি আবার কোনো দিন পারি না। কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, কতদিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায়? সামনে ঈদ। বর্তমানে যে অবস্থা এখন তো আর আগের মতো ব্যবসা নেই। এখনো যদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয় তাহলে খাব কী করে? আর কর্মচারীদের বেতনই বা দেব কীভাবে?

লকডাউনের শুরু থেকেই ওয়ারী এলাকায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক তিন শিফটে ভাগ হয়ে কাজ করছেন। চেষ্টা করে যাচ্ছেন এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করতে। এলাকাবাসী যখন যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই সাড়া দিচ্ছেন তারা। তাদের কাজে এলাকাবাসীও সন্তুষ্ট। স্বেচ্ছাসেবকরা বলছেন, আমরা এলাকাবাসীকে সহযোগিতা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তারা যখন যা এনে দিতে বলছে হাসিমুখে তাই এনে দিচ্ছি। আমাদের এলাকা ঝুঁকিমুক্ত হোক।

ওয়ারী থানার এসআই রুবেল মল্লিক জানান, আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। আগের চেয়ে মানুষ কম বাইরে বের হচ্ছে। আমরা শুধু ডাক্তার, নার্স ও রোগীদের বের হতে দিচ্ছি। এলাকায় সংবাদকর্মী ও অন্যান্য পেশার লোকজন খুবই কম আছে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর