সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সপ্তাহে দুই দিন বসবে ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ

সারা দেশে ৫৪ হাজার আসামির জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঞা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়। এদিকে সারা দেশে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৪০ কার্যদিবসে ৫৪ হাজার ৬৬৭ আসামিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এক লাখ সাত হাজার ৩৭টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে এসব জামিন দেওয়া হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে এবং শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে আদালত তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালিত হবে মর্মে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত ভার্চুয়াল আপিল বিভাগ শুনানি গ্রহণ করবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল কোর্টে জরুরি বিষয়ে শুনানি সংক্রান্ত মামলার দৈনন্দিন কার্যতালিকা (কজলিস্ট) যথারীতি সুপ্রিম কার্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং ভার্চুয়াল শুনানি সংক্রান্ত যোগাযোগ ই-মেইল থেকে জানা যাবে। এর আগে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গত ২৫ মার্চের পর থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশের ভার্চুয়াল অধস্তন আদালতের জামিন সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহামারী করোনাকালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারা দেশের সব অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে ৪০ কার্যদিবসে মোট ৫৪ হাজার ৬৬৭ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। এক লাখ সাত হাজার ৩৭টি জামিন-দরখাস্ত নিষ্পত্তি করে এসব আসামির জামিন দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে ভার্চুয়াল শিশু আদালতের মাধ্যমে ৬৫১ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সাইফুর রহমান।

গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্টে শুনানির জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়। পর দিন ১০ মে উচ্চ আদালতের সব বিচারপতিকে নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ফুল কোর্ট সভা করেন প্রধান বিচারপতি। ওই দিনই নিম্ন আদালতের ভার্চুয়াল কোর্টে শুধু জামিন শুনানি করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এর পর থেকে নিম্ন আদালতে ভার্চুয়াল কোর্টে জামিন শুনানি শুরু হয়। ১১ মে প্রথমবারের মতো কুমিল্লার আদালতে এক আসামির জামিন হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর