সোমবার, ১৩ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা সংক্রমণ বাড়লে ভার্চুয়াল কোর্টেই নির্ভর করতে হবে : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ভার্চুয়াল কোর্টের ওপর নির্ভর করে চলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেক্ষেত্রে সারা দেশের আইনজীবীদের ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। গতকাল ‘ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী একথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উদ্যোগে এবং রুল অব ল’ প্রোগ্রাম, জিআইজেড বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় এ অনলাইন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ মো. শফিউল আজম, নরসিংদীর জেলা জজ মোস্তাক আহমেদ, জিআইজেড বাংলাদেশ-এর ‘রুল অব ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত বক্তব্য দেন।

আনিসুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে এই ভার্চুয়াল কোর্টের ওপর নির্ভর করে চলতে হবে। এ জন্য আইনজীবীদের গুরুত্বের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা যদি ভার্চুয়াল কোর্ট পদ্ধতিতে এগিয়ে না যাই তাহলে আমরা পিছিয়ে থাকব, সমালোচনার সম্মুখীন হব।  

আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরে ই-জুডিশিয়ারি চালুর উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছিল। ই-জুডিশিয়ারির নতুন বিষয়গুলো সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের দরকার ছিল। ঠিক সে সময় মার্চ মাসে দেশে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেল এবং সরকার করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে দেশের সব অফিস বন্ধ করে দিল। তখন প্রধান বিচারপতিও আদালত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন। আমরা দেখেছি প্রায় দুই মাস বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিচারপ্রার্থীরা অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছেন।

আনিসুল হক বলেন, কারাগারগুলোও ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছিল। সে পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আদেশ দিলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট নিয়ে আমাদের যে পরিকল্পনা তা সীমিত পরিসরে হলেও চালু করতে। কেননা, কারাগারের যে পরিস্থিতি তাতে অন্তত পক্ষে জামিন আবেদন ও সে আবেদনের শুনানির ব্যবস্থা না করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৯ মে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ জারি করা হয়।

সর্বশেষ খবর