মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সিলেটে মৃত্যুহার দিগুণ সুস্থতায়ও পিছিয়ে

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

সিলেটে বেড়েছে করোনা চিকিৎসাসেবা। বাড়ানো হয়েছে হাসপাতালের সংখ্যা। চিকিৎসাসেবায় যুক্ত হয়েছে নতুন ভেন্টিলেটর ও হাই ফ্লো নেজেল ক্যানোলা। কিন্তু এরপরও কমছে না মৃত্যুর সংখ্যা। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। করোনায় সারা দেশের গড় মৃত্যুর চেয়ে সিলেটে মৃত্যুর হার দ্বিগুণ। সুস্থতার দিক দিয়েও পিছিয়ে রয়েছে সিলেট। মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ার জন্য সিলেটের আবহাওয়া ও বয়স্ক রোগীদের অন্যান্য শারীরিক জটিলতাকেই দায়ী করছেন চিকিৎসকরা। তবে চিকিৎসা নিয়ে মানুষের মধ্যে আগের চেয়ে সচেতনতা বাড়ায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর হার কমা ও সুস্থতা বাড়া নিয়ে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ছিল ১.২৮ শতাংশ। কিন্তু একই সময়ে সিলেট জেলায় মৃত্যুর হার ছিল ২.৫৬ শতাংশ। আর সারা দেশের তুলনায় সিলেট বিভাগের মৃত্যুর হার ছিল দশমিক ৪৭ ভাগ বেশি।

গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ১০৩ জন। এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলায় করোনায় মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৮০। এ ছাড়া বাকিদের মধ্যে সুনামগঞ্জের নয়জন, হবিগঞ্জের ছয়জন ও মৌলভীবাজারের আটজন রয়েছেন।

মে মাস পর্যন্ত সিলেট বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৭। কিন্তু জুন মাসে আক্রান্তের সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃতের সংখ্যাও। ওই মাসে মারা যান ৫৮ জন। ৩০ জুন সিলেট বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫। জুলাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও থামেনি মৃত্যুর মিছিল। চলতি মাসের ১২ দিনে সিলেট বিভাগে মারা গেছেন আরও ২৮ জন।

সিলেট বিভাগে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৮৯০ জন। এর মধ্যে শুধু সিলেট জেলার রয়েছে ৩ হাজার ১২৫ জন। এক হাজার ১৭৪ জন আক্রান্ত নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুনামগঞ্জ। আর হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৯১১ ও ৬৮০।

 

সুস্থতার দিক দিয়েও সারা দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে সিলেট বিভাগ। সারা দেশে আক্রান্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার যেখানে ৫২.৬১, সেখানে সিলেট বিভাগে সুস্থতার হার মাত্র ৩৯.৩৭। বিভাগের মধ্যে সুস্থতার হার সবচেয়ে বেশি সুনামগঞ্জে। ওই জেলায় সুস্থতার হার ৭৩ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম সুস্থতার হার সিলেটে ২১.৭৬। এ ছাড়া হবিগঞ্জে সুস্থতার হার ৪৪.৪৬ ও মৌলভীবাজারে ৫৫.৪৪।

মৃত্যু হার কম ও সুস্থতার হার বেশি প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেটে করোনা চিকিৎসার অনেক উন্নতি হয়েছে। আইসিইউর পাশাপাশি ভেন্টিলেটর ও হাই ফ্লো নেজেল ক্যানোলারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু মাঝে মধ্যে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে তাপমাত্রা কমে গেলে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর