তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার উদ্যোগ মার্চেই নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় তা স্থগিত ছিল। তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিগগিরই নিবন্ধন দেব। আর যেগুলোর বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিবেদন এসেছে, সেগুলোর ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন। এসএসসি পাস সাহেদ কীভাবে পত্রিকার ডিক্লারেশন পেয়েছেন- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার ডিক্লারেশন ডিসি অফিস থেকে নিতে হয় এবং ডিক্লারেশন পাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সাহেদ   পত্রিকার ডিক্লারেশন নিলেও সে পত্রিকা বের করেছেন কিনা, তা ডিএফপি (চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর) খতিয়ে দেখছে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লারেশন থাকবে কিনা, তা বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।’

মতবিনিময়কালে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা শনাক্ত ও চিকিৎসা বিষয়ে জেকেজি ও সাহেদের দুর্নীতি-প্রতারণা সরকারই উদ্্ঘাটন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এর কোনোটিই পত্রিকার রিপোর্ট বা অন্য কারও অভিযোগের আঙুল তোলার পর নয়, সরকার নিজেই অনিয়ম খতিয়ে দেখার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো উঠে এসেছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে বলে বসেন সরকারের উদাসীনতার কারণে বানের পানি এসেছে, আমি সে শঙ্কার মধ্যেই আছি।’

তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ঘরের মধ্যে বসে বসে মায়াকান্না দেখায়, জনগণের জন্য সাহায্যের হাত প্রসারিত করে না। তাদের রাজনীতিটা হচ্ছে টেলিভিশন আর সংবাদ সম্মেলনকেন্দ্রিক, এর বাইরে তাদের কোনো রাজনীতি নেই।