মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

দুর্নীতির সঙ্গে এক মিনিটও থাকতে চাই না : স্বাস্থ্য সচিব

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান বলেছেন, দুর্নীতির সঙ্গে এক মিনিটও থাকতে চাই না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিদিনই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, গত রবিবারও এক প্রফেসরের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি শুধু ঢাকা নয়, অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জেও যদি তথ্য থাকে তবে তা মন্ত্রণালয়কে জানানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, মিডিয়াই আমাদের ভরসা। আমরা দুর্নীতির কোনো জায়গাই ছাড়তে চাচ্ছি না। স্বাস্থ্য সচিব গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলার স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করছিলেন। মতবিনিময়ে ছিলেন স্বাস্থ্য যুগ্মসচিব উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জেলা   সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ, খানপুর করোনা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গৌতম রায়, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়মা আফরোজ ইভা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, আমরা সত্যের সঙ্গে থাকতে চাই। যারা অপরাধ করবে তারা সবাই আইনের আওতায় আসবে, আসা উচিত। আমাদের অনেক সময় তথ্য-উপাত্ত পেতে অনেক দেরি হয়, ওগুলো আপনাদের কাছে থাকলে আমাদের জানাবেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেন, এ দেশে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। দুর্নীতি দমন কমিশনও এ নিয়ে কাজ করছে। স্বাস্থ্য সচিব দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, যারাই অপরাধ করবে তারা কে কী তা দেখার বিষয় নয়, আমরা অপরাধ দেখে প্রতিষ্ঠান একেবারে সিলগালা করে দেব।

আবদুল মান্নান বলেন, নারায়ণগঞ্জ করোনার শুরুতে হটস্পটে পরিণত হয়েছিল। এখন একটা পর্যায়ে এসেছে। এখানে যারা স্বাস্থ্যসেবা ও করোনা নিয়ে কাজ করছেন তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে আজ এখানে এসেছি। ডাক্তাররা ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা তাই তাদের কাছে এসেছি তাদের কথা শুনতে। এতে তাদের মনোবল ফিরে আসবে। তাদের ডেকে ঢাকায় নিয়ে কথা বলার চাইতে তাদের কাছে এসে আমি কথা শুনব বলেই এখানে আসা। তাদের কাছ থেকেই আমি জানব সমস্যাগুলো কোথায়, যাতে মানুষ সেবা পায় এবং জনগণের সেবা নিশ্চিত করা যায়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, রোগী কেন দিন দিন কমে যাচ্ছে তা দেখা হবে। যদি খানপুরে করোনা হাসপাতালে ৮০ জন ডাক্তার ও ২৬ জন রোগী থাকবে, তা হবে না। ভিতরে আরও সমস্যা আছে কিনা আমরা দেখব। আর কয়েকদিন দেখার পর এ হাসপাতালে একদিকে কভিড, অন্যদিকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

কোনো হাসপাতাল যদি নিয়মের বাইরে গিয়ে টেস্ট করায় কিংবা বেশি টাকা আদায় করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি কভিড হাসপাতালের বাইরে দিয়েও যাতায়াত করে না অথচ ডাক্তাররা জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন। তাই তাদের প্রণোদনার ব্যাপারটি দেখা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর