আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনাভাইরাসের ভুয়া নমুনা পরীক্ষা বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্টের আশঙ্কা তৈরি করছে।  মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে এ ধরনের অপকর্ম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।  গতকাল রাজধানীর জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কাদের বলেন, কয়েকদিনে আমরা লক্ষ্য করছি, করোনা পরীক্ষার নমুনা ক্রমে কমছে। আবার পরীক্ষিত নমুনা বিবেচনায় আক্রান্তের শতকরা হার বেশি, যা আজকের হিসাবে প্রায় চার ভাগের একভাগ। নমুনায় পরীক্ষার বাহিরে আক্রান্ত রোগী থাকা অধিকতর ঝুঁকিপূর্ণ এবং সংক্রমণ ছড়াতে পারে দ্রুত। তাই নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করছি।

ল্যাবগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণে স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যকর ও দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের মাঝে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। এ নিয়ে করোনা চিকিৎসার সংক্রমণ রোধ ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফি নির্ধারণের ফলে অনেক অসহায়, কর্মহীন দরিদ্র মানুষ করোনার লক্ষণ দেখা দিলেও পরীক্ষা করাতে আসছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। করোনার নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ বলে জানা গেছে। এটি উদ্বেগের বিষয়। অসহায় মানুষের সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে আমি সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সরকারের এই মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন জেলায় কোরবানি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে সংবাদ এসেছে। ক্রেতা-বিক্রেতার অবাধ বিচরণ এবং স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলা পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলতে পারে। তাই পশুর হাটের ইজারা গ্রহীতা, স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ বাহিনীর প্রতি পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আরও কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।