করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একাডেমিক কার্যক্রম ছাড়াই চলে যাচ্ছে শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু। এ সময়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের এ ক্ষতি পূরণে চালু করা হয়েছে অনলাইন ক্লাস ‘ঘরে শিখি’। পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমার উদ্যোগে শুরু হয় ফেসবুক ভিত্তিক এ অনলাইন ক্লাস। শ্রেণি কার্যক্রম ‘ঘরে শিখি’র অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ (www.facebook.com/puonlineclass) থেকে নির্ধারিত রুটিন অনুসারে চলবে ক্লাস। মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ম্যাথ ও ফিজিক্সের ক্লাস করা হয়। প্রথম দিন দুই হাজার ভিউয়ার (শিক্ষার্থী) অংশগ্রহণ করে। জানা যায়, পটিয়া উপজেলার ৪৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৩৪ হাজার শিক্ষার্থী। মাধ্যমিক পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একটি প্ল্যাটফরমে এনে ক্লাস অভিন্ন প্যানেলে অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম ‘ঘরে শিখি’র মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হবে। পটিয়া উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২২ জন শিক্ষক এ কার্যক্রমে পাঠদান করাবেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা বলেন, ‘প্রাণঘাতী করোনা সামগ্রিক ক্ষেত্রে চরম আকারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এই সময়ে শিক্ষার্থীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, চলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যজীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই তাদের এ ক্ষতি পূরণে ঘরে শিখি নামে অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্লাসগুলো থাকবে রেকর্ডেড। পটিয়ার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. মাইনউদ্দিন মজুমদার বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক পৃথক প্যানেলের মাধ্যমে স্কুলের সিলেবাস অনুসরণ করে অনলাইন ক্লাস চলবে। ঘরে শিখি কার্যক্রমের সমন্বয়ক পটিয়ার পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মীর আন-নাজমুস সাকিব বলেন, ‘পটিয়া উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২২ জন অভিজ্ঞ শিক্ষক এ কার্যক্রমে পাঠদান করবেন।’

 ঘরে শিখির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নির্ধারিত রুটিন অনুসারে নিয়মিত সম্প্রচার করা শুরু হবে।’